সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
আউশগ্রাম-২ ব্লকের ভাল্কি অঞ্চলের সুয়াতা গ্রামে প্রতি বছর পীর বোম্মান সাহেবের উরস উৎসব পালিত হয়। সোমবার পৌষ সংক্রান্তিতে মেলার সূচনা হল। আশপাশের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও বাইরে থেকে অনেকে আসছেন। প্রচুর দোকানপাট বসেছে। এই মেলার মূল আকর্ষণ হল মিষ্টি। পীর বোম্মান সাহেবের উদ্দেশে মেলায় আসা ভক্তরা মিষ্টি উৎসর্গ করেন। প্রসাদ হিসেবে মেলা থেকে বালতি, হাঁড়িতে ভরে মিষ্টি নিয়ে যান। প্রতিদিন মাত্র কয়েক ঘণ্টায় লক্ষ লক্ষ টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়। মিষ্টির জোগান দিতে হিমশিম খান ব্যবসায়ীরা। বছরের পর বছর ধরে এমনই রেওয়াজ চলে আসছে।
জানা গিয়েছে, এবার মেলায় প্রায় ১২-১৪টি মিষ্টির স্টল বসেছে। গুসকরা থেকে মেলায় স্টল দিয়েছেন গণেশ দাস, রতন দাস। তাঁরা বলেন, প্রতি বছরই মেলায় আসি। চারদিনে আমার প্রায় দু’লক্ষ টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়। ভাতকুণ্ডা থেকে আসা ব্যবসায়ী রবি দাস, নিতাই বাগ বলেন, এখানে মিষ্টি ভালো বিক্রি হয়। বিক্রেতা মঙ্গল সরকার, ভিকু সরকার বলেন, বহু বছর ধরে মেলায় মিষ্টির স্টল দিই। চারদিনে আমাদের দু’লক্ষ টাকার বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়। আর এক ব্যবসায়ী পতিতপবন দাস বলেন, আমরা বহু কারিগর এনেছি। তাও জোগান দিতে পারছি না। প্রতিদিন ৭০হাজার থেকে এক লক্ষ টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়। সবমিলিয়ে একদিনে আমার তিন থেকে চার লক্ষ টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়।
মেলায় পেল্লাই সাইজের রসগোল্লা, বালিশ মিষ্টি, রাজভোগ, ল্যাংচা কিনতে আসেন বহু মানুষ। এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে মেলায় ৫০টাকা প্রতি পিস রসগোল্লা দেদার বিক্রি হচ্ছে। প্রবীণ ব্যবসায়ী রবি দাস বলেন, আমরা পঞ্চাশ টাকা পিস রসগোল্লা তৈরি করেছিলাম। স্টল সাজাতেই মুহূর্তের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেল। মেলায় শুধু কারিগর নিয়ে আসতে পারলেই হল। গলসি থেকে মেলায় এসেছিলেন শেখ আব্দুল, শেখ মহিউদ্দিন। তাঁরা বলেন, সারা বছর ধরে এই মেলার মিষ্টির জন্য অপেক্ষা করি। দেড়-দু’হাজার টাকার মিষ্টি কিনেছি।
মেলা কমিটির সম্পাদক আব্দুল আলিম বলেন, এই মেলা অনেক পুরনো। এখানে মিষ্টি প্রসাদ হিসেবে সবাই বাড়িতে নিয়ে যান। আত্মীয়স্বজনদের বিতরণ করেন। তাই মিষ্টির ব্যাপক চাহিদা থাকে। চারদিনে ২৫লক্ষ টাকার বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়। এটাই রেওয়াজ।