সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
বিকেল থেকেই স্কুল পড়ুয়াদের পিঠেপুলি তৈরির প্রতিযোগিতা জমে ওঠে। হলদিয়া শহর ও লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার দশটি স্কুলের ছাত্রীরা মনোহারি পিঠে সাজিয়ে চমকে দিয়েছে দর্শকদের। বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ের শিল্পী ভৌমিক, গীতশ্রী নস্করদের পিঠেপুলি সাজানোর পরিবেশনা ছিল অসাধারণ। গ্রামীণ বাড়ির উঠোনের পরিবেশ সৃষ্টি করে সেখানে পিঠেপুলি তৈরি চমকে দিয়েছে সবাইকে। তাদের স্কুলের বার্তা ছিল, পিঠেপুলি পায়েসের পৌষপার্বণ, স্বাদ আর সাধ্যের মেলবন্ধন। এদিন সমস্ত পড়ুয়া স্বাস্থ্যবিধি প্রতিযোগিতার পর দর্শনার্থীদের পিঠে ও পায়েস খাওয়ায়। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে রামগোপালচক ভারতী বিদ্যামন্দির, দ্বিতীয় বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যালয় এবং তৃতীয় রঘুনাথপুর জুনিয়র হাইস্কুল। এদের সবাইকে রুপোর স্মারক দেওয়া হয়েছে। বাকি সমস্ত স্কুলকে রুপোর স্মারক বিবেকানন্দ উপহার দেওয়া হয়েছে আয়োজকদের তরফে। সন্ধেয় সবার হাতে পুরস্কার তুলে দেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মনোরঞ্জন ঘোষ। আয়োজকদের তরফে বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ বলেন, ফাস্ট ফুডের জন্য বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পিঠেপুলি হারিয়ে যাচ্ছে। পৌষের সময় কয়েকদিন ছাড়া পিঠেপুলি পাওয়াই যায় না। কিন্তু টিফিন হিসেবে পিঠের কদর রয়েছে। নিজস্ব সংস্কৃতি হারিয়ে ভিন রাজ্য ও ভিন দেশের খাবারে অভ্যস্ত হচ্ছি। পিঠে গ্রাম ও শহরের মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য দারুণ খাদ্যবস্তু। এর ওপর জোর দিতে পিঠে তৈরি প্রশিক্ষণ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হবে মিশনের তরফে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, গৃহিনীদের পাঁচ রকমের সাতটি করে পিঠে নিয়ে প্রতিযোগিতায় হাজির হতে হবে। মাটির বা কাঁসার থালায় সাজাতে হবে। মেলায় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি পিঠে বিক্রিও করতে পারবেন মহিলারা। শহরবাসীর জন্য বসেছে পিঠের দোকানও। মঙ্গলবার সেখানে সন্ধের আগেই পিঠে শেষ হয়ে যায়। লাইন দিয়ে পিঠে কিনতে দেখা যায় বহুজনকে। অনেকে পিঠে না পেয়ে ফিরেও গিয়েছেন। এদিন সন্ধেয় মেলায় গানের আসর জমিয়ে দেন শালবনীর ঝুমুরের দল। সন্ধের আসর মাতায় মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের টুসু ও ভাদু গান। বুধবার গাইবেন বৈশাখী রায় ও রয়েছে পাইক নাচ।-নিজস্ব চিত্র