সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
নদীয়া জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিক পি কে বাগচী বলেন, ‘জলের সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আর্সেনিক রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট বসানোর কাজ চলছে। যা ভূগর্ভস্থ জলকে আর্সেনিক মুক্ত করবে। তারপর সেই জল বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই কাজ শেষ করা হবে। যার জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।’
নদীয়া জেলা আর্সেনিক প্রবণ। ভূগর্ভস্থ জলের অপ্রতুলতা জেলার অন্যতম সমস্যা। তার উপর ছোট নদী, পুকুর, খাল-বিলের মতো ‘সারফেস ওয়াটার’ও নিঃশেষ হওয়ার পথে। নদীয়ার ১৮টি ব্লকের মাধ্যে ১৬টি ব্লককেই ভূগর্ভস্থ জল শূন্যতার নিরিখে লাল তালিকাভুক্ত করেছে কেন্দ্র সরকার। বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড সারা দেশের ভূগর্ভস্থ জলের গুণগত মান সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রকাশ করে জনশক্তি মন্ত্রক। কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূগর্ভস্থ প্রতি এক লিটার জলে আর্সেনিকের মাত্রা যদি ০.০১ মিলিগ্রামের বেশি থাকে, তাহলেই ওই জলকে দূষিত বলে ধরতে হবে। তাতে দেখা গিয়েছে, নদীয়া জেলার কল্যাণী বাদে ১৭টি ব্লকের ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিকের মাত্রা অত্যধিক। অর্থাৎ জেলার সিংহভাগ মানুষ আর্সেনিকের কবলে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভূগর্ভের জল শূন্যতাই আর্সেনিকের মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিণঘাটা, কল্যাণী, চাকদহ, কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া এবং কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের ভাগীরথী নদী সংলগ্ন এলাকায় আর্সেনিক রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট বসবে না। কারণ এই এলাকাগুলোতে গঙ্গার জল পরিস্রুত করে সরবরাহ করা হবে। বাকি ১২টি ব্লকে ২৫০টি আর্সেনিক রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট বসানো হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল চাপড়া, করিমপুর-১, করিমপুর-২, তেহট্ট-২, রানাঘাট-১ ব্লক।
উল্লেখ্য, নদীয়া জেলায় ‘জল জীবন মিশন’-এর আওতায় ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার উপভোক্তার বাড়িতে জলসংযোগ দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। এখনও পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২ শতাংশ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করতে হবে দপ্তরকে।