সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
ইস্কোর টাউন সার্ভিস বিভাগের চিফ জেনারেল ম্যানেজার বিবেক কুমার বলেন, আমরা সাধারণ মানুষকে বারবার অনুরোধ করছি এই এলাকায় কেউ জমি কিনতে গেলে আমাদের টাউন অফিসে যোগাযোগ করুন। আমরা জমির রেকর্ড খতিয়ে দেখে জানিয়ে দেব তিনি সঠিক জমি কিনেছেন নাকি ইস্কোর জমি কিনে প্রতারিত হয়েছেন। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সেই প্রশ্ন তুলতেই ফোনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর বারবার চেষ্টা করেও ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বার্নপুরের বাসিন্দা সুব্রত সিনহা বলেন, ১৯৮২সালের আগে পর্যন্ত বার্নপুর শিল্পাঞ্চলে জমি কেনাবেচার পর যেসব দলিল তৈরি হয়েছে তা বর্ধমানের রেকর্ড রুমে সংরক্ষিত আছে। একশ্রেণির অসাধু জমি কারবারি সেখানে যোগাযোগ করে রেকর্ডে কারচুপি করছে। আমার ক্ষেত্রেও তা হয়েছে। আমার জমির দাগ নম্বরের নথি দিয়ে একজন বর্ধমান রেকর্ড রুম থেকে ডুপ্লিকেট জমির দলিল বের করার আর্জি জানায়। নিয়ম অনুযায়ী কোনও প্রকৃত জমি মালিকের দলিল হারিয়ে গেলে তিনি এই পদ্ধতিতে ডুপ্লিকেট দলিল বের করতে পারেন। সেই ব্যক্তি আগেই আমার পুরনো দলিলের যে কপি ছিল তাতে কারসাজি করে দিয়েছিল। তাই ডুপ্লিকেট দলিলে আমার জায়গায় তার নাম উল্লেখ ছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি হাইকোর্টে যাই। কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করে জানা যায়, আমার দলিল বিকৃত করা হয়েছিল। এধরনের বহু ঘটনা প্রশাসনের নজরে এসেছে, তা আমি জানি। অতি প্রভাবশালী ছাড়া এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়।
অনেকের মতে, দলিল বিকৃতির পিছনে বার্নপুরের সেই বসের হাত রয়েছে। ইস্কোর প্রক্সি ডিডকে হাতিয়ার করেও জমি কেলেঙ্কারি চলছে। ইস্কো বেসরকারি মালিকানাধীন থাকার সময় বহু জমি তারা আধিকারিকদের নামে কিনেছিল। ইস্কোর নামে প্রক্সি ডিড করা হতো। অনেক ক্ষেত্রেই সেই জমির রেকর্ডগুলি ওই প্রাক্তন আধিকারিকদের নামে থেকে গিয়েছে। জমি মাফিয়াদের চক্রটি সেই প্রাক্তন আধিকারিকদের উত্তরসূরি সেজে নিজেদের নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করিয়ে নিচ্ছে। তারপর ইস্কোর নামে প্রক্সি ডিড থাকা সেইসব জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, বস তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ২০২১ সাল থেকেই পুরোমাত্রায় এই কাজ করেছে। যাতে নতুন শহরে কেউ বসতি গড়তে চাইলে তার দ্বারস্থ হতেই হয়। (চলবে)। শিল্পাঞ্চলে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে পুকুর। নিজস্ব চিত্র