সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
রাজ্য তথা দেশের অন্যতম পর্যটন শহর মুর্শিদাবাদ। নবাবি তালুক মুর্শিদাবাদ শহরে রয়েছে হাজারদুয়ারি, ইমামবারা, কাটরা মসজিদ, কাঠগোলাপ বাগান ও প্রাসাদ সহ একাধিক স্থাপত্য নিদর্শন। নবাবি স্থাপত্য নিদর্শনগুলি ঘুরে দেখতে সারা বছর ধরে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা মুর্শিদাবাদে আসেন। তবে পুজো এবং শীতে পর্যটকদের সংখ্যা বেশি থাকে। নভেম্বর মাস থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহলের দাবি, ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের পর্যটনের ভরা মরশুম। বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ সহ ছুটির দিনগুলিতে পর্যটকদের সংখ্যা ২৫-৩০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়।
হাজারদুয়ারির গাইড সঞ্জয় দত্ত বলেন, পুজোর পরে কয়েকদিন পর্যটক ছিল। তারপরে পর্যটক সংখ্যা কমতে থাকে। তবে শীতের আমেজ শুরু হতেই সপ্তাহ দু’য়েক থেকে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে রোজগারও ভালো হচ্ছে। টাঙ্গা চালক অজিত শেখ বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর হালকা ঠান্ডা পড়তেই পর্যটকরা আসছেন। শহরের হোটেল ব্যবসায়ী পরিতোষ দাস বলেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শীতের মরশুমের জন্য ঘর বুকিং শুরু হয়েছে। বড়দিন থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় সব ঘর বুক হয়ে গেছে। এবছর পর্যটকদের ঢল নামবে বলে মনে হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ-এর সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, দিন কয়েক ধরে বাস এবং ছোট গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। হোটেল বুকিং শুরু হয়েছে। আশা করছি, এবছর শীতের মরশুমজুড়ে পর্যটকদের ভিড়ে নবাবের শহর সরগরম থাকবে। শীত পড়তেই প্রায় প্রতিদিন বিদেশি পর্যটকরা ঘুরতে আসছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিদেশি পর্যটকদের দল মুর্শিদাবাদ ঘুরে গিয়েছে।