সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এদিন এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, সার্জারি বিভাগের পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়েছেন। এই নিয়ম মেনে চলতে গেলে কিছুই শিখতে পারবেন না তাঁরা। এরচেয়ে ভালো মেডিক্যাল কলেজ তুলে দেওয়া হোক। প্রতিটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ুয়াদের নিজে হাতেই কাজ শিখতে হয়। আশা করছি পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে নির্দেশিকা পরিবর্তন করা হবে।
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। বর্তমানে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনরা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তবে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে ভালো পরিষেবা মিলছে বলেও জানাচ্ছেন রোগীর পরিজনরা। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসবের পরই পাঁচ প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হলেও বাকি তিন প্রসূতির চিকিৎসা চলছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। গ্রিন করিডর করে তাঁদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। রেখা সাউ নামে অপর এক প্রসূতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার তাঁর অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। তাঁর জ্বরের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। একইসঙ্গে রেখা দেবীর সন্তানও আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারও চিকিৎসা চলছে। অপরদিকে, মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের সন্তান বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। সব ঠিক থাকলে বুধবার তাকে ছুটি দেওয়া হতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান সিআইডির পাঁচ গোয়েন্দা। তাঁরা বেশ কয়েকজন চিকিৎসক সহ হাসপাতালের উচ্চপদস্থ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা নানা বিষয় খতিয়ে দেখেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন সিআইডির আধিকারিকরা। এদিন মৃত প্রসূতির জামাইবাবু গৌতম দাস ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সিআইডির উপর আস্থা রাখতে পারছি না। সরকার আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। কোনও সাহায্য পাইনি।
মৃতার স্বামী দেবাশিস রুইদাস বলেন, শুনেছি সিআইডি তদন্ত হচ্ছে। আমরা চাই সঠিক বিচার যেন হয়। সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, দোষীরা যেন শাস্তি পায়। আর কোনও সন্তানকে যেন মা হারা হতে না হয়। আমার রোজগার খুবই সামান্য, সরকার থেকে দুই সন্তানকে দেখভাল করার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হলে খুবই উপকার হবে।