সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
কর্তৃপক্ষর দাবি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পড়ুয়াদের আরও এগিয়ে দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। ক্লাসরুমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা রক্তকণিকা বা অস্থি নিয়ে পড়ান। কিন্তু তা সামনে দেখে দেখানো যায় না। এই পদ্ধতিতে সেসব কিছু স্ক্রিনের সামনে ফুটিয়ে তোলা হবে। চোখের সামনে কিছু দেখলে সেটা মনে রাখা সহজ হয়। তারফলে পড়ুয়ারা হাতে কলমে সবকিছু শিখতে পারবে।
সাঁকটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবার ১০০ বছরে পা দিয়েছে। শতবর্ষ উদযাপন উৎসব কমিটির সভাপতি শুভ্রজিৎ গুহ বলেন, এখন প্রযুক্তির যুগ। স্কুলের ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তির ব্যবহার না শিখলে পিছিয়ে পড়বে। সেই কারণেই আমরা ক্লাসরুমে এইআই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আবুল বরকত বলেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য ১১টি ক্লাস রুমের পরিকাঠামো বদল করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাসেই এআই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব বিষয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হবে। স্কুলের প্রাক্তনী হিরন্ময় সামন্ত বলেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিকভাবে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা পাবে। প্রাক্তনীরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন। আশা করি, স্কুল আরও এগিয়ে যাবে।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এধরনের উদ্যোগ আগে দেখা যায়নি। বিভিন্ন স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হয়েছে। সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু এআই প্রযুক্তির সহযোগিতা নিতে তেমন দেখা যায়নি। এক আধিকারিক বলেন, অন্যান্য স্কুলগুলিও উৎসাহ পাবে। শুধু সরকারের আর্থিক সহযোগিতার উপর নির্ভর না করে এভাবে প্রাক্তনীরাও যদি এগিয়ে আসে তাহলে জেলার অন্যান্য স্কুলগুলির পরিকাঠামোও উন্নত হবে। রায়নার ওই স্কুলের শতবর্ষ উদযাপন উৎসব কমিটির সভাপতি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ক্লাস শুরু হয়েছে। ফ্রেবুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে তা চালু হবে। বিশেষ সংস্থার সাহায্য নিয়ে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার বলেন, এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। অন্য স্কুলগুলিরও এভাবে এগিয়ে আসা দরকার। অত্যাধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষাদান করলে পড়ুয়াদের মেধার বিকাশ ঘটবে। একই বিষয় বিভিন্নভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে শেখা যাবে।-নিজস্ব চিত্র