সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
কাটোয়া শহরের গৃহবধূ শেফালি সরকার, বৈশাখী মোদক বলেন, এখন ঢেঁকি আর পাব কোথায়! হাতে সময়ও কম। তাই রেডিমেড চালের গুঁড়ি কিনেই বাড়িতে পিঠে তৈরি করছি। নিয়মরক্ষাটুকু তো করতেই হবে।
কাটোয়ার একাইহাট এলাকায় একসময় অনেক বাড়িতেই ঢেঁকির রমরমা ছিল। সেইসব বাড়িতে গিয়ে পৌষপার্বণে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করার শব্দ শুনতে পাওয়া যেত। এখন সেসব বাড়িতে ঢুঁ মারলে ধুলো পড়া ও উইয়ে খাওয়া ঢেঁকির কঙ্কালসার চেহারা নজরে পড়ে। একাইহাটের গৃহবধূ শেফালি মণ্ডল বলেন, আমরা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা থেকে এসে বাস করছি। একাইহাটে এসে আমরা সেগুন কাঠের ঢেঁকি তৈরি করি। কয়েকবছর আগেও আমার বাড়িতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করার জন্য আশপাশের প্রতিবেশীরা ভিড় করতেন। সারাদিন ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করে পায়ে ব্যথা হয়ে যেত। আর এখন কেউ আসেন না। সবাই মেশিনে গুঁড়ো করান বা বাজার থেকে চাল গুঁড়ি কেনেন। পড়ে থেকে ঢেঁকিটা নষ্ট হতে বসেছে। আরেক গৃহবধূ দুলালী বাগচি বলেন, আমাদের ঢেঁকিটা তুলে রেখেছি। আগে আমার বাড়িতে পৌষ মাস এলেই প্রতিবেশিদের লম্বা লাইন পড়ে যেত। এখন সেই ঢেঁকি উইপোকা নষ্ট করে দিচ্ছে। দাঁইহাট শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চর দাঁইহাট পাড়ায় আবার নতুন করে ঢেঁকি তৈরি করিয়েছেন রমা সরকার। তিনি বলেন, ঢেঁকি ছাঁটা চালের স্বাদই আলাদা তাই শাল কাঠের ঢেঁকি তৈরি করিয়েছি। -নিজস্ব চিত্র