সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শেষের দিকে রাইকা পাহাড় সংলগ্ন এইসব এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছে বাঘিনি জিনাত। বহু কষ্টে তাকে ধরেন বনদপ্তরের কর্মীরা। ফের বাঘের আতঙ্কে ঘুম উবেছে বনকর্তাদের। তাহলে কি বাঘিনি জিনাতের টানেই হাজির বাঘ? ডিএফও পূরবীদেবীর উত্তর, জিনাত যাওয়ার পর থেকেই এই বাঘের ব্যাপারে আমরা জেনেছি। বান্দোয়ান লাগোয়া পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জঙ্গলেই বাঘের বিচরণের খবর মিলছিল। ঝাড়গ্রাম, বান্দোয়ানেও পায়ের ছাপ মিলেছে। বাসিন্দাদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেব। জঙ্গল থাকলেই বন্যজন্তু থাকবে। বাঘ আসবে।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারির শুরু থেকেই বাঘের আতঙ্ক ছড়ায় বাংলার সীমান্তবর্তী ঝাড়খণ্ডের চাণ্ডিল ও দলমা এলাকায়। ওইসব এলাকায় প্রথম বাঘের পায়ের ছাপ মেলে। তা খতিয়ে দেখে ঝাড়খণ্ডের বনদপ্তরের আধিকারিকরা দাবি করেন, পায়ের ছাপ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। তবে, বাঘটির গলায় রেডিও কলার নেই। গতিবিধি ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পায়ের ছাপই ভরসা। বনদপ্তর সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে বাঘটি ওই এলাকাতেই চরকিপাক খেতে থাকে। রবিবার ঝাড়গ্রামের বাঁশপাহাড়ীর পাদদেশে হাঁড়িডিহার জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। জঙ্গল লাগোয়া গ্ৰামগুলিতে এরপরেই সতর্কতা জারি করা হয়। সোমবার সকাল থেকে সেইসব এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা করা শুরু করা হয়েছে। গ্ৰামবাসীদের জঙ্গলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হচ্ছে।
বনদপ্তর সূত্রের খবর, সোমবার ভোরেই বাঘটি হাঁড়িডিহা থেকে রাইকা সংলগ্ন কেশরার জঙ্গলে এসে পৌঁছয়। জিনাতের পুরাতন রুট ধরেই। কীভাবে বাঘকে বাগে আনা যাবে, তা নিয়ে ফের নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন বনদপ্তরের কর্মীরা।
(বাঘের পদচিহ্ন। বান্দোয়ানে আতঙ্ক। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র)।