সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
দুর্গাপুর শহরের অদূরে কমলপুর এলাকায় সরকারি জমি দখল করে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা করছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। কিন্তু কীভাবে এই কারবার বিনা বাধায় রমরমাভাবে চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কমলপুর, হেতেডোবা, বাঁশগড়িয়ায় বনদপ্তরের জমি, সরকারি খাস জমিতে পাথর খাদান করার অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। বনদপ্তর বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের জমিগুলি চিহ্নিত করে বোর্ড দিলেও তা কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। রমরমিয়ে চলছে পাথর কারবার। তার মাঝেই বনদপ্তরের চিন্তা বাড়িয়েছে নতুন করে জমি দখল।
দুর্গাপুরের ডিএফও অনুপম খান বলেন, কমলপুর এলাকায় বনদপ্তরের জমিতে পাথর খাদান করার প্রবণতা রয়েছে। আমরা ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যা থামানোর চেষ্টা করছি। এরই মাঝে দেখা যাচ্ছে ওই এলাকায় কিছু কারখানা, রিসর্ট, বিনোদনের স্থান গজিয়ে উঠেছে। আমরা সেগুলিকে দপ্তরের জমি দখল করার অভিযোগে নোটিস করেছি। ওই এলাকায় জমি কিনলে অবশ্যই জমির নথি ভালো করে যাচাই করার আবেদন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মহকুমা শাসক, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই এলাকায় যেন এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স না দেওয়া হয় সেই আর্জিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের জমির দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। এক কাঠা জমির দাম কোথাও ১৫ লক্ষ কোথাও আবার ২৫ লক্ষ টাকা। মূল শহর ছাড়িয়ে বহু প্রমোটার পার্শ্ববর্তী গ্রাম এলাকায় বিঘা বিঘা জমি কিনে প্লটিং শুরু করেছে। ফরিদপুর থানার অন্তর্গত কমলপুরেও সেই প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সেখানেই উদ্বেগ বাড়ছে বনদপ্তরের। দপ্তরের দাবি, এখানেই বিস্তীর্ণ জমি দখল হচ্ছে। সেই এলাকার একটি বড় অংশজুড়ে পাথর খাদান রয়েছে। দপ্তর চাইছে সেই সব খাদানের কারবার বন্ধ করিয়ে জমি নিজেদের কব্জায় নিতে। তারই মাঝে ওই এলাকাগুলিতে প্লটিং শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি কারখানাও বনদপ্তরের জমির একাংশজুড়ে রয়েছে বলে আধিকারিকদের দাবি। সেই মতো কারখানা কর্তৃপক্ষকে প্রথম নোটিস করে বনদপ্তর। তাতে তারা কর্ণপাত না করায় দ্বিতীয় নোটিস দেওয়া হয়েছে। বনদপ্তরের দাবি, নোটিসের উত্তর না দেওয়া একটি অপরাধের মধ্যে পড়ে। এলাকায় একটি বড় বিনোদন পার্ক গড়ে উঠেছে। সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কটেজ করার পাশাপাশি শিশুদের মনোরঞ্জনের নানা মাধ্যম রয়েছে। বনদপ্তরে অভিযোগ, তারা দপ্তরের ০.৪১ একর জমি দখল করে রেখেছে। তাদেরও নোটিস করা হয়েছে। ডিএফওর দাবি, বনদপ্তরের নোটিসের উত্তর দিয়ে তারা জমি দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার আমরা ভূমি দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে জয়েন্ট সার্ভে করব।
-দুর্গাপুরের অদূরে কমলপুরে সরকারি জমি দখল করেই কারখানা, বিনোদন পার্ক গড়ার অভিযোগ বনদপ্তরের।