সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে শীঘ্রই এনিয়ে তদন্ত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ শান্তনু চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই কয়েকজন ছাত্রী মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এদিন ওই বিভাগের পড়ুয়ারা একটি লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের ওই অধ্যাপক ‘স্টেট এইড কলেজ টিচার’ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই জেকে কলেজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছাত্রীদের পড়ানোর অছিলায় তাঁদের শরীরে বাজেভাবে স্পর্শ করেন ওই অধ্যাপক। শুধু তাই নয়, রাতে ফোন করা, আলাদাভাবে দেখা করতে বলা, পড়ানোর নাম করে যখন খুশি বাড়িতে ডেকে যৌন আবেদন করার মতো মারাত্মক অভিযোগও উঠেছে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ‘যখন তখন ফোন করতেন ওই অধ্যাপক। ফোন করে ছবি পাঠাতে বলতেন। বাড়িতে ডাকতেন। তারপর যা করতেন, তা আর মুখে বলা যাবে না।’
পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, দু’-একজন ছাত্রী নয়, অন্তত ১৫জন ছাত্রী ওই অধ্যাপকের হেনস্তার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন এক ছাত্রী। তিনি হেনস্তার শিকার হয়ে নিজেকে ৩৬ ঘণ্টা গৃহবন্দি রেখেছিলেন। পরে তাঁর পরিবার কলেজে এসে খোঁজ খবর শুরু করলে বিষয়টি সামনে আসে। তারপর বাকি ছাত্রীরাও এক এক করে মুখ খুলতে থাকেন। এনিয়ে কিছুদিন আগেই অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগও জানাতে গিয়েছিলেন ছাত্রীরা। তখন অভিযোগ জমা নেওয়া হয়নি বলে দাবি পড়ুয়াদের। সেই কারণেই সোমবার কলেজের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন পড়ুয়ারা। গেটের বাইরে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিক্ষোভ ওঠে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যাপককে ফোন করা হলে তিনি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পড়ুয়াদের অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। এনিয়ে এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি সায়ন্তন ঘোষ বলেন, পড়ুয়াদের থেকে আমরা ওই অধ্যাপক সম্পর্কে যা জেনেছি, তাতে রীতিমতো স্তম্ভিত হচ্ছি। আমরা অভিযুক্ত অধ্যাপককে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছি। সেইসঙ্গে কলেজে ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। টিএমসিপির জেলা সভাপতি কিরীটী আচার্য বলেন, এধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।