উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, আসানসোল রেল ডিভিশনের অধীনে সাঁইথিয়া-অণ্ডাল শাখায় বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ি রেলস্টেশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই জেলার একাধিক রেলস্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, বোলপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনও। সিউড়ি স্টেশনের যাত্রীদের জন্য পরিষেবা আরও উন্নত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এরজন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। স্টেশনের বাইরেটা জেলার অন্যতম পীঠস্থান বক্রেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরি করার কথা ছিল। রেলের দাবি, বক্রেশ্বর মন্দির এবং উষ্ণ প্রস্রবণ ভ্রমণকারী, তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের জন্য এই স্টেশনের অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে। তা বিবেচনা করে রেলমন্ত্রক অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে সিউড়ি স্টেশনের জন্য পুননির্মাণ প্রকল্পের সূচনা করে লোকসভা ভোটের আগে। প্রাথমিকভাবে স্টেশনের ভিড় কমানোর জন্য একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে দু’টি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে। লিফটেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের লিফটটি চালু হলেও দুই-তিন নম্বরের লিফট এখনও চালু হয়নি। আর এই প্ল্যাটফর্মেই বেশিরভাগ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি স্টপেজ দেয়। যাত্রীদের প্রতীক্ষার জন্য একাধিক নতুন শেড তৈরি হয়েছে। এছাড়া স্টেশনের বাইরে বক্রেশ্বর মন্দিরের আদলে চূড়া করার কথা ছিল। এরজন্য লোহার বড় বড় বিম লাগানো হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ তারপর আর এগয়নি। কবে এই কাজ শেষ হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলযাত্রীরা।
রবিবার রেলযাত্রী অনিমেশ সর্বজ্ঞ, সমরেশ পাল বলেন, অমৃত ভারত প্রকল্পে রেল স্টেশনের অনেক উন্নতি করবে শুনেছিলাম। কিছু কাজ অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু সিউড়িতে যাত্রী পরিষেবা আরও উন্নত করা দরকার। বক্রেশ্বর মন্দিরের আদলে স্টেশন সাজানোর কথা শুনেছিলাম। স্টেশনের বাইরে কাজ শুরু হলেও এখন আর কাজ হতে দেখছি না। লোকসভা ভোটে এখানে বিজেপি হেরে গেছে বলেই হয়তো আর কাজ এগচ্ছে না। -নিজস্ব চিত্র