উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
কিছুদিন আগে কুলটি থানার পুলিসও এমনই এক রুটের বাস থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল। এহেন খুনি, ডাকাতের দল যেভাবে যাত্রীপূর্ণ বাসে অস্ত্র আনছে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে পুলিস মহলে। অস্ত্র পাচারে বাধা পেলে সহযাত্রীদের মাথায় বন্দুক ধরতেও যে তারা পিছুপা হবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। এটা ভেবেই আতঙ্কে কাঁপছে বাসের যাত্রীরাও।
শুক্রবার এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পায়, মুঙ্গের থেকে বিপুল অস্ত্র বাংলার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে। অস্ত্র যাচ্ছে বাসে। এরপরই সোর্স মাধ্যমে তদন্তকারীরা জেনে ফেলেন, দুই কুখ্যাত অস্ত্র কারবারি কুলটি থানা এলাকার মধ্যেই কোনও একটি জায়গায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বাস থেকে নেমে পড়বে। সাদা পোশাকের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসার কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে ওঁত পেতে থাকেন। অস্ত্র হাত বদলের জন্য ধৃতরা বেছে নিয়েছিল এই প্রাচীন কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকাকেই। অস্ত্র কারবারিরা এলাকায় আসতেই ঘিরে ধরে পুলিস। তাদের পিঠে থাকা ব্যাকপ্যাক থেকে উদ্ধার হয় ১০টি ওয়ানশর্টার পাইপগান, ৫০ রাউন্ড ৯ এমএম কার্তুজ ও ৪ রাউন্ড ৮ এমএম কার্তুজ। সেখানেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরিচয় জানার পর পুলিস বুঝতে পারে, বড় অস্ত্র কারবারি তাদের জালে পড়েছে। অভিযুক্তরা হল মিনারুল ইসলাম ও সফিকুল মণ্ডল। দু’জনেরই বাড়ি ডোমকলে। মিনারুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দু’জনই একাধিক অস্ত্র পাচারে অভিযুক্ত। দু’বছর জেল খেটে দেড় মাস আগে তারা জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে।
রবিবার অভিযুক্তদের আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতে দেওয়ার আর্জি জানায় পুলিস। পুলিস ১১ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতকে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে একাধিক অবৈধ অস্ত্র কারখানা চলছে। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলায় অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। ধৃতরা এই কারবারে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। তাদের নিয়ে অভিযানে গেলে আরও বহু অস্ত্র উদ্ধার হতে পারে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগও মিলছে। তাই মুঙ্গেরের অস্ত্র বাংলা হয়ে কোন ভাবে ভিন দেশে যাচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহেই প্রশাসনিক বৈঠকে বিহার ঝাড়খণ্ড থেকে অস্ত্র ঢোকার কথা বলেছিলেন। তাঁর সতর্কবার্তার পরই পুলিস থেকে এসটিএফ তৎপর হয়। তারপরই এল সাফল্য। ডিসি সন্দীপ কারবা বলেন, ধারাবাহিক ভাবে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বিশেষ সতর্কতা নিয়ে নাকা চেকিং করা হয়।