উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি তিন বছর অন্তর পরীক্ষা হয়। এক আধিকারিক বলেন, যে কোনও স্কুলের অগ্রগতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। তাঁরা কীভাবে শিক্ষা দিচ্ছেন সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই মান যাচাইয়ের সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতা দেখা হয়। ৪ডিসেম্বর পরীক্ষা হতে চলেছে। আগের পরীক্ষায় রাজ্যের স্কুলগুলি ভালো ফল করেছিল। এবারও তেমনটাই হবে বলে আধিকারিকদের দাবি। এক আধিকারিক বলেন, কী ধরনের প্রশ্ন-উত্তর হতে পারে তা আন্দাজ করে পড়ুয়া এবং শিক্ষিক, শিক্ষিকারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ পদ্ধতি মেনে পরীক্ষার জন্য স্কুলগুলিকে বেছে নেওয়া হয়। ইচ্ছেমতো কোনও জেলা স্কুল ঠিক করতে পারে না। পরীক্ষক কারা হবেন সেটা কেন্দ্র থেকেই ঠিক হয়।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামেও বেসরকারি স্কুল গড়ে উঠছে। সরকারি স্কুলগুলিতে কোনওকিছুর অভাব নেই। প্রতিটি স্কুলের পরিকাঠামোও উন্নত হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব নেই। তারপরও বহু অভিভাবক সরকারি স্কুলের উপর ভরসা করছেন না। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে চলছে। সেই কারণেই এবার পড়াশোনার মান যাচাইয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগেও পরীক্ষা নেওয়া হতো। কিন্তু এবার আগের থেকে পরীক্ষা পদ্ধতিতে বেশকিছু বদল আনা হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দক্ষতা যাচাইয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোনও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে পড়াশোনার পদ্ধতি নিয়ে খুঁত থাকলে সেটা ধরিয়ে দেওয়া হবে। কীভাবে পড়াশোনা করালে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে সেটা বুঝিয়ে বলা হবে। শিক্ষার মান যাচাইয়ের জন্য রাজ্য সরকারও বিভিন্ন সময় পরীক্ষার আয়োজন করে। আধুনিক পদ্ধতিতে কীভাবে পাঠ দেওয়া যাবে তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, স্কুলগুলিতে পড়াশোনার মান যাতে আরও ভালো হয় তার উদ্যোগ নিতে হবে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় ভূমিকা থাকে।