উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
ওই মসজিদ কমিটির সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল পুরনো মসজিদ। কিন্তু মসজিদের ভগ্নদশার কারণে সেটির সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছিল। এ নিয়ে সম্প্রতি ওই এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা আলোচনায় বসেন। সেখানে ঠিক করা হয় পুরনো মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদের ভবন তৈরি করা হবে। যার খরচও বহন করবে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ।
সেইমত এদিন নতুন মসজিদ ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে ফিতে কেটে শিলান্যাস করেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি আলি খন্দকার আজিজ বলেন, মসজিদের নতুন ভবন একসঙ্গে তৈরি করছেন হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এর থেকে আর গর্বের বিষয় কান্দির বাসিন্দা হিসেবে আমাদের কাছে থাকতে পারে না। মসজিদ কমিটির সম্পাদক গোলাম মিঁয়া জানান, মসজিদের নতুন ভবন তৈরির ব্যাপারে প্রথম থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করা হচ্ছে। আর মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন দীপঙ্কর মজুমদার। তিনি বলেন, মসজিদের নতুন ভবন তৈরি করতে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। সেই টাকা ইতিমধ্যে এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা দিতে শুরু করেছেন। এদিনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার, কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক সহ উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষক, উকিল থেকে চিকিৎসকরাও। অপূর্ববাবু বলেন, আমাদের রাজ্য যে সংস্কৃতি, সম্প্রীতির বাহক এই ঘটনা ফের তা প্রমাণিত করল। দাঙ্গাকারীদের কোনও জায়গা এই রাজ্যের মানুষ দেন না। এখানে মন্দির হোক বা মসজিদ। উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে তৈরি করেন। এটাই কান্দির অনন্য সম্প্রীতির নজির।