উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ার নাম শাহানারা বিবি মণ্ডল। বয়স প্রায় ৫৫ বছর। হাঁসখালি থানা এলাকার ময়ূরহাট গ্রামের বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিল মণ্ডলের সঙ্গে প্রায় ৪০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু বিবাহের প্রায় ১০ বছরের মাথায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান হাবিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্বামীর সন্ধান না পেয়ে সেই সময় হাঁসখালি থানায় একটি লিখিত নিখোঁজ দায়ের করেছিলেন শাহানারা। এর মাঝে ২০০০ সালের বন্যায় বাড়ির আর পাঁচটা জিনিসের সঙ্গে ভেসে যায় নিখোঁজ ডায়েরি করা কাগজটি। আইনিভাবে, সাত বছরের নিখোঁজ কোনও ব্যক্তি আইনের চোখে মৃত বলেই ধরা হয়। কিন্তু শাহানারা তা প্রমাণ করবেন কীভাবে?
প্রশাসনের যে দুয়ারেই জমি নিজের বলে দাবি করতে গিয়েছেন, সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে। কিন্তু নিখোঁজ ব্যক্তির মৃত্যু শংসাপত্র হবে কী করে? ফলে নিখোঁজ স্বামীকে মৃত প্রমাণ করতে প্রয়োজন ছিল সেই ৩০ বছর আগের নিখোঁজ ডায়েরি করা কাগজ। তা না থাকায় আজ হন্যে হয়ে ঘুরছেন প্রশাসনের দুয়ার থেকে দুয়ারে। অবশেষে, অসহায় ওই প্রৌঢ়াকে সাহায্য করতে গিয়ে আসেন রানাঘাট আদালতের আইনজীবী সুমন রায়। তিনি একটি চিঠি লিখে দেন যাতে পুনরায় স্বামী নিখোঁজ হওয়ার ‘কাগজ’ জোগাড় করতে পারেন ওই প্রৌঢ়া। শাহানারা বলেন, আইনের যাঁতাকলে পড়ে আমি প্রমাণ করতে পারছি না যে স্বামী আইনগতভাবে মৃত। চূড়ান্ত অর্থকষ্টে রয়েছি। সামান্য যেটুকু জমি রয়েছে, তা বিক্রি করে দেওয়ার প্রয়োজন, কিন্তু জমি যে আমার তা প্রমাণ করতেই পারছি না। সব জায়গায় বলছেন ডেথ সার্টিফিকেট লাগবে। অবশেষে উকিলবাবু সহায়তা করেছেন। আমি পুলিসকে জানিয়েছি, প্রয়োজনে তাঁরা আমার বাড়ির আশপাশের লোকজনকেও জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আজ সামান্য একটু জমির জন্য কত দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে।
এদিকে, ওই মহিলার তরফে পুনরায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত করার জন্য যে আবেদন জমা পড়েছে, তা জানিয়েছে রানাঘাট পুলিস। সূত্রের খবর, ওই মহিলার দাবি এবং স্বামী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র