উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
পূর্বস্থলী-১ ব্লক কৃষি আধিকারিক পরিতোষ হালদার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পেঁয়াজের চারা তৈরিতে ক্ষতি হয়েছে। জোগান কম থাকায় পেঁয়াজের চারার দাম অনেকটাই বেশি। যেসব চাষিরা পেঁয়াজের চারা কিনে চাষ করেন, তাঁরা অনেকে অতিরিক্ত খরচের কারণে সর্ষে, ধনেপাতা ও সব্জিচাষে ঝুঁকছেন। তবে এই প্রবণতা এখনও খুব বেড়ে যায়নি। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।এই মহকুমায় কালনা-১ ও ২, পূর্বস্থলী-১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে পাঁচহাজার হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। এর মধ্যে পূর্বস্থলী-১ ও ২ ব্লকে ১৫০০ ও ২০০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের ফলন হয়। কালনা-১ ব্লকে ৭০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়। এবার বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই বাজার ধরতে আগাম বীজতলা ফেলে চারা তৈরি শুরু করেন চাষিরা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রথম ধাপের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেটুকু টিকেছে, তার দাম আকাশছোঁয়া। অনেকে নতুন করে বীজতলা করেছেন। কিন্তু তা বিক্রির উপযোগী হয়নি।গত বছর কালনা মহকুমার নান্দাই নাগরগাছি এলাকায় আড়তে পেঁয়াজের চারা ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এবার তার দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। ফলে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে ১৫হাজার টাকা বেশি খরচ পড়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এক বিঘায় পেঁয়াজ চাষে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে। ভালো ফলন ও দাম না পেলে চাষিদের ব্যাপক লোকসানে পড়তে হবে। সেজন্য অনেক চাষি ঝুঁকি না নিয়ে পেঁয়াজ চাষের জমি কমিয়ে সর্ষে ও অন্য সব্জিচাষ শুরু করেছেন।নান্দাইয়ের চাষি কচি শেখ বলেন, গত বছর ১৮ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। ভালো ফলন ও দাম না মেলায় লোকসান হয়েছে। এবার অর্ধেক জমিতে পেঁয়াজ চাষ করছি। অপর চাষি সুব্রত দাস বলেন, গত বছরে আট বিঘা জমিতে পেঁয়াজ ফলিয়েছিলাম। এবার চার বিঘায় পেঁয়াজ ও বাকি জমিতে সর্ষেচাষ করছি।