শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
ওইসব পুজো কমিটির সদস্যরা জানালেন, ভাগীরথী তীরবর্তী এই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে। অধিকাংশ মানুষই শ্রমজীবী। তাই এই অঞ্চলে পুজো করাই খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। সরকারি অনুদান তাদের অনেকটাই দুশ্চিন্তামুক্ত করেছে। জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় আটটি পুজোর মধ্যেই ৬টি মহিলা পরিচালিত। এর মধ্যে কোনও পুজো ৮ বছর, কোনওটি ৯ বছর, কোনওটি বা ১০ বছর ধরে হয়ে আসছে। এবছর ওই ৬টি মহিলা পরিচালিত পুজোই পুরসভার অনুমতি নিয়েছে। তবে এর মধ্যে চারটি পুজো পেয়েছে সরকারি অনুদানও। সব মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটির সদস্যরাই দুর্গাপুজো করার জন্য সারা বছর অল্প অল্প করে অর্থ সঞ্চয় করেন। তারপর এলাকা থেকে কিছু চাঁদা তোলেন। দীর্ঘদিন এইভাবে তাঁরা পুজো চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই এলাকায় পুজোর আয়োজন করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ছিল। এবার বেশ কিছু পুজো কমিটি সরকারি অনুদান মেলায় খুবই খুশি এলাকাবাসী। প্রাচীন মায়াপুর সঞ্জয় মাস্টার লেনের মহিলা পরিচালিত সর্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক লক্ষ্মী দাস বলেন, আমরা ২০১৫ সাল থেকে চাঁদা তুলে এই পুজোটা শুরু করেছি। এবছর ২০২৪ সালে আমরা অনুমতি এবং অনুদান দুটোই পেয়েছি। সেজন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাই।
রানিরচড়া বটতলা মহামায়া মহিলা সমিতি পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুনীতি নাথ বলেন, আমরা তিন বছর ধরে পুজো শুরু করেছি। এখানে সবাই খুবই দরিদ্র। আমরা যে অনুদানটা পেয়েছি তার জন্য কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আগামী দিনে এই পুজোটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
নবদ্বীপ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি বাবু নাগ বলেন, এই ওয়ার্ডের ৬টি মহিলা পরিচালিত বারোয়ারির মধ্যে চারটি মহিলা পরিচালিত বারোয়ারি অনুদান পেয়েছে। বাকি দু’টি মহিলা পরিচালিত বারোয়ারি আছে। আবেদনের ভিত্তিতে আগামী দিনে তারাও অনুদান পাবে। তবে পুজো কমিটিগুলির অনুদান পাওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা এবং পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাতে আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।