শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ লাগোয়া জায়গায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বিকেলের পর থেকেই মেলায় ভিড় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। আরও তিনদিন মেলা থাকবে। তাই বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে। মেলায় ঐতিহ্যবাহী পোশাকের পাশাপাশি আচার সহ কিছু খাবারের সামগ্রীও বিক্রি হচ্ছে।
এবছর তাঁতবস্ত্র মেলার ৪২বছর পূর্ণ হল। ১০০’র বেশি স্টলে বিছানার চাদর সহ নানা জিনিসের বিক্রি বাড়ছে। একসময় জেলায় মাওবাদী আন্দোলন বেড়ে গিয়েছিল। সেসময় এই মেলায় বিক্রির পরিমাণ তলানিতে এসে ঠেকেছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক ব্যবসায়ী মেলায় আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে ২০১২ সাল থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এখন রাজ্যের পাশাপাশি ভিনরাজ্য থেকে আসা ব্যবসায়ীরাও মেলায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন। গত কয়েকবছরে এই মেলায় রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আগ্রহও দেখাচ্ছেন।এবছর ১৭ সেপ্টেম্বর মেলার সূচনা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেলায় ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার জিনিস বিক্রি হয়েছে। এক ব্যবসায়ী জানালেন, বন্যা পরিস্থিতির জেরে অনেক ব্লক থেকে ক্রেতারা আসতে পারেননি। না হলে বিক্রির পরিমাণ আরও বেড়ে যেত। মেলায় ৫০লক্ষ টাকার বেশি তো শুধু শাড়িই বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন এক-দেড়হাজার মানুষের ভিড় হচ্ছে। ছুটির দিন থাকলে ভিড় আরও বাড়ছে।
ঝাড়খণ্ড থেকে খাদি ও সিল্কের পোশাক বিক্রি করতে এসেছেন গৌতম বসাক। তিনি বলেন, সারা বছর এই মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আগামী রবিবার ভিড়ের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। বোলপুর থেকে এসে কাঁথা স্টিচের নানা পোশাক বিক্রি করছেন শেখ জাহির আব্বাস। তিনি বলেন, করোনা সঙ্কটের পর বাজার একদম পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন বাজার উঠছে। মালদহের ব্যবসায়ী মহম্মদ জাকির হোসেন আচার ও মোহিনীগঞ্জের তুলাইপাঞ্জি চাল বিক্রি করছেন। বললেন, বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়ছে। মেলা আরও কিছুদিন থাকলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।