শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
আসানসোলের বিভিন্ন বাজারে বাঁধাকপি ৫০ টাকা কিলো, টম্যাটো ৮০ টাকা কিলো, কুমড়ো ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কিলোয় বিক্রি হচ্ছে। আলু ৩২ টাকা কিলো, পেঁয়াজ ৬০ টাকা কিলো। জেলা, মহকুমা প্রশাসন, রেগুলেটরি মার্কেট কমিটি, লিগ্যাল মেট্রোলজি, পুলিসের এনফোর্সমেন্ট টিম বার বার মার্কেট পরিদর্শন করলেও খুচরো বাজারে দামের যে বিস্তর ফারাক তা স্পষ্ট হয়েছে আসানসোল বাজারে প্রশাসনিক অভিযানে। পাইকারি কারবারেও এদিন বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, পাইকারি দোকানদাররা খুচরো বিক্রেতাদের রসিদ দিচ্ছেন না। তাই পাইকারি বাজার থেকে ঠিক কত টাকায় বিভিন্ন সামগ্রী খুচরো বিক্রেতারা কিনছেন তার কোনও হিসেব থাকছে না। এতে দুই পক্ষেরই লাভ। পাকা বিল দিতে না হওয়ায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার করলেও সরকারকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে না পাইকারি ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে খুচরো বিক্রেতারা কত টাকায় জিনিস কিনছেন তার প্রমাণ না থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে যেমন খুশি দাম চাইছেন অসাধু খুচরো বিক্রেতারা। এদিন মহকুমা শাসক হুঁশিয়ারির সুরে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। তিনি বলেন, আড়াই মাস ধরে বাজারে ঘুরছি। আপনাদের বার বার বলছি নির্দিষ্ট রসিদের মাধ্যমে জিনিস বিক্রি করুন। সঠিক রসিদের মাধ্যমে বিনিময় না হলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনও পাইকারি দোকানদার রসুনের ২০০ টাকা কেজি বলছেন, কেউ বলছেন ২৮০ টাকা কেজি। একই ভাবে আলু, পেঁয়াজেরও দামের বিস্তর ফারাক ধরা পড়ছে। এক বড় অসাধু চক্রের জেরেই সাধারণ মানুষ বেশি দামে সব্জি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দু’হাতে টাকা লুটছে। জেলা রেগুলেটরি মার্কেট কমিটির সম্পাদক দিলীপ মণ্ডল একাধিক ব্যবসায়ীকে নথি নিয়ে আরএমসি অফিসে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন।