গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
জেল থেকে প্রায়ই বাপ্পার সঙ্গে কথা হতো তার। জেলে একজন বন্দির হাতে কীভাবে মোবাইল এল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিস জানতে পেরেছে, সাদ্দাম বাপ্পাকে এও জানিয়েছিল জামিন মিললেই কাটোয়ায় ‘অপারেশন’ হবে। সেই কথা ফাঁস হয়ে যেতেই আতঙ্কে কাঁপছে গোটা কাটোয়া। অনেকেই বলছেন, কাটোয়া শহরে ২০১৫ সালে সাদ্দাম যে ‘অপারেশন পুরসভা’ চালিয়েছিল, তা সবাই দেখেছেন। সেটাই আবার করতে পারে। তাহলে কাটোয়া শহরে কি শান্তি ফিরবে না? এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে ঘরছে। সাদ্দামের নিশানা অব্যর্থ। দু’ হাতে সে পিস্তল চালাতে সক্ষম। ছিপছিপে চেহারার সাদ্দামের নজরও তীক্ষ্ণ। তাছাড়া সে দ্রুত মুভমেন্ট করতে পারে৷ তার নেটওয়ার্কও দুর্দান্ত। পুলিসের এক অফিসার এদিন জানান, সাদ্দাম জেলে থাকলেও কাটোয়া শহরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী গোপনে তাকে অর্থ সাহায্যে করছে৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে এরকম একটা দুষ্কৃতীকে অর্থ সাহায্যে কিসের ভয়ে? কি স্বার্থ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীদের? সেসব খতিয়ে দেখছে পুলিস।
কয়েকদিন আগেই কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দানের ব্রডব্রাণ্ড ব্যবসায়ী ইমাদুল ইসলামের কাছে সাদ্দাম ফোন করে টাকা চায়৷ ওই ব্যবসায়ী শুক্রবার কাটোয়া থানার পুলিসকে তাঁর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, চলতি মাসের ৯ তারিখে ওই ব্যবসায়ীকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী জঙ্গল শেখের ছেলে সাদ্দাম ফোন করে৷ ফোনে ওই ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা তোলা হিসাবে চায়৷ আর টাকা না দিলে ব্যবসায়ীকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়৷ ওই টাকা ধৃত ভাইস চেয়ারম্যানের ভাগ্নে অমিত মণ্ডল ওরফে বাপ্পাকে দেওয়ার কথা বলে৷ এরপরেই ১১ সেপ্টেম্বর রাতে বাপ্পা ওই ব্যাবসায়ীকে ফোন করে সাদ্দামের জন্য টাকা দিতে বলে। কিন্তু ব্যবসায়ী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ওত টাকা দিতে পারবেন না৷ এরপর বাপ্পার কথামতো লখিন্দর মণ্ডলের আদা-পিঁয়াজের গোডাউনের গলিতে একটি রেস্তরাঁর সামনে ওই ব্যবসায়ী টাকা দিতে যান৷ বাপ্পার হাতে তিন হাজার টাকা দিয়ে আসেন৷ বাপ্পা ওই ব্যবসায়ীকে জানায়, জঙ্গল ও সাদ্দাম খুব শীঘ্রই জেল থেকে ছাড়া পাবে৷ তাই তাদের জন্য প্রচুর টাকা দরকার৷ সেই টাকাই জোগাড় করা হচ্ছে৷ পুলিস জানতে পেরেছে, বাপ্পা ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর জেলবন্দি সাদ্দামকে চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার তোলাবাজির টাকা লেনদেনের জন্য ফোন করেছিল৷ সেইসব অডিও রেকর্ডিং পুলিসের হাতে এসেছে৷ এমনকি ভাইস চেয়ারম্যানের গোডাউনে টাকা লেনদেনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে সাদ্দাম শেখকে। নিজস্ব চিত্র