গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
দাঁতনের বেলমুলার বাসিন্দা অশোক জানা বলেন, মঙ্গলবার থেকে নদীতে জল দ্রুত বাড়ছে। তাতে গ্রামের একাধিক রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এভাবে যদি নদীর জল বাড়তে থাকলে আমাদের ভিটে ছাড়া হতে হবে।
বুধবার কেশিয়াড়িতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া ও রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। দুপুরে কেশিয়াড়ি ব্লকের সাঁতরাপুর অঞ্চলের রাংটিয়া ও বাঘাস্তি অঞ্চলের খড়িপাড়া এলাকায় উপস্থিত ছিলেন জুন মালিয়া, পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেশিয়াড়ি বিধানসভার বিধায়ক পরেশ মুর্মু, মন্ত্রী শিউলি সাহা, কেশিয়াড়ি ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিক শমিক ভড় সহ অন্যান্যরা। তাঁরা দুর্গত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের অতি বৃষ্টিতে ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি গালুডি জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে সুবর্ণরেখা নদীর জল বেড়ে নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ধান থেকে সব্জি বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে গেলেন সাংসদ থেকে মন্ত্রী বিধায়ক ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।কেশিয়াড়ির পাশাপাশি সুবর্ণরেখা নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাঁতন ১ ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। আলিকষা, তররুই, আঙ্গুয়া, দাঁতন ১ ও দাঁতন ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রামগুলিতে ঢুকতে শুরু করেছে নদীর জল। একে অতিবৃষ্টির কারণে এই সমস্ত এলাকায় সব্জি চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার উপর সুবর্ণরেখা নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় ধান সহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ও ব্রিজ জলের তলায় চলে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বুধবার সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ সরবরাহ করেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রতুল দাস সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কেশিয়াড়িতে দুর্গতদের পাশে সাংসদ জুন মালিয়া, মন্ত্রী শিউলি সাহা সহ অন্যান্যরা। নিজস্ব চিত্র