গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
২০১৬ সালে বীরভূম সফরে এসে বিশ্বভারতীর আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বোলপুরের শিবপুর মৌজার রায়পুর-সুপুর পঞ্চায়েতের ২০ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ চলাকালীন ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা দপ্তর পঠনপাঠনের জন্য বিশ্ববাংলাকে ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু ভবনগুলি নির্মাণ অসম্পূর্ণ থাকার কারণে বিশ্ববাংলার পাশেই অবস্থিত ওয়েবেল আইটি পার্কে অস্থায়ীভাবে ক্লাস শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও গণিত, এই চার বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিউড়ির চাঁদমারির মাঠে প্রশাসনিক সুবিধা প্রদান সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিশ্ববাংলার ক্যাম্পাসের ছবি ও ভিডিও দেখে সেদিনই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। উদ্বোধনের দিন বিশ্ববাংলার ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৫০। অতিথি ও আমন্ত্রিত অধ্যাপক-অধ্যাপিকার সংখ্যা ৩৫। তবে নতুন করে ১৪টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্বে পঠনপাঠন শুরু হলে, সেই অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের পাশাপাশি পরিকাঠামোও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববাংলার কন্ট্রোলার অব এগজামিনেশন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
নতুন করে যে বিষয়গুলি এবছর শুরু হবে, তার মধ্যে কলা ও ভাষা বিভাগে রয়েছে সংস্কৃত, লিঙ্গুইস্টিকস অ্যান্ড ইনডেঞ্জার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ, এডুকেশন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শারীর শিক্ষা, ভিজুয়াল আর্ট, মিউজিক অ্যান্ড ড্রামা। এর পাশাপাশি বিজ্ঞান বিভাগে কেমিক্যাল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মাইক্রোবায়োলজি, ফিজিওলজি অ্যান্ড হিউম্যান অ্যানাটমির মতো বিষয় শুরু হতে চলেছে। এছাড়াও কমার্স, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতো আধুনিক বিষয়ও যুক্ত হওয়ায় সব ধরনের ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববাংলায় ভর্তি হতে পারবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষামহল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপকুমার মাইতি বলেন, স্নাতকোত্তর স্তরে এই ধরনের উদ্বাবনী বিষয় বিশ্ববাংলার পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই। এতে এক লাফে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইন মাধ্যমে বহিরাগত পড়ুয়ারা ফর্ম ফিলআপ করতে পারবেন। প্রতিটি বিষয়ে ৫০টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র