গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
চৌরঙ্গীর পুজো সদর শহরের বিগবাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। শহরের একপ্রান্তে এই পুজো দেখতে মানুষের সমাগম পুজোর পাঁচদিনই থাকে। পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এই পুজোর উপদেষ্টা। থিমসজ্জা থেকে প্রতিমা তৈরি সবেতেই মুন্সিয়ানা দেখায় তারা। এবারও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শহরবাসীকে বিশেষ বার্তা দিতে একেবারে অভিনব ভাবনা নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। থিমের নাম দুর্গাদর্পণ। অমানুষ ও অমানবিকতার ‘অ’ মেটাতে তাঁরা এবার থিম প্রস্তুত করছে। মূল বার্তা, মানুষের বিবেককে আরও একবার জাগিয়ে তোলা। সেভাবেই থিম তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। জানা গিয়েছে, পুজো মণ্ডপে ঢুকতেই একটি গারদ থাকছে। মনে হবে গারদ ভেদ করে ভিতরে ঢুকছেন। ভিতরে প্যান্ডেলের মধ্যে থাকছে বিভিন্ন খাঁচা। সেখানে পাখি ও মানুষ উভয়ই বন্দি। মাঝে থাকছে মানুষের হৃদয়। সেই হৃদয়ের সঙ্গে বিভিন্ন আলো দিয়ে গোটা প্যান্ডেল সুসজ্জিত থাকবে। যেন, দেখে মনে হবে অনুভূতিগুলো আলোর স্নায়ু দিয়ে হৃদয়ের সঙ্গে মিশছে। চারদিকে অজস্র আয়না। যেই আয়না দিয়ে তাকালেই মানুষ নিজেকে দেখতে পাবেন।
পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে দেবাশিস ধীবর বলেন, ছোট থেকেই শুনে আসছি, এমন কোনও কাজ করবি না যাতে আয়নাতে নিজের মুখটা দেখতে অসুবিধা হয়। আয়নায় বিবেকটা ধরা পড়ে। যদি কারও বিবেক বিকিয়ে যায়, তাহলে সে যেন মায়ের শরণাপন্ন হয়। মা তার বিবেককে জাগ্রত করে দেবেন। মানবিকতা, মনুষ্যত্ব যেখানে হারিয়ে যাচ্ছে, সেটাই ফিরিয়ে আনার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মায়ের হাতে এবার কোনও অস্ত্র থাকছে না।
অন্যদিকে, পাশেই ৬-এর পল্লি ক্লাবের এবারের পুজো ১৪ বছরে পা রাখল। তাদের এবারের ভাবনা, জন্ম হোক শিশুর সবুজ সকালে। মূলত গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর যুগে কীভাবে মানুষ সবুজায়নে জোর দিতে পারে, সেটাই তুলে ধরা হচ্ছে। প্যান্ডেলে বিভিন্ন সবুজ গাছ, জলাধার, সূর্যের আলোর খেলা দেখা যাবে। উমা মায়ের আশেপাশে গাছের চারার বৃদ্ধি তুলে ধরা হবে। প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার সামাজিক বার্তা দিতে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির সভাপতি দেবাশিস ঘোষাল বলেন, এবার গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে সচেতন হওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। বাজেট ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ক্লাবের সদস্য কৌশিক ঠাকুর, পার্থসারথী রায়, কাজল সিংরা বলেন, আমরা নিজেদের মতো করে মানুষের সামনে নতুন কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত ঠাসা অনুষ্ঠান থাকছে। -নিজস্ব চিত্র