সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
বিদ্যুৎদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৩৩হাজার ভোল্টে ফিডার লাইন রয়েছে ৯৭টি। তারমধ্যে আটটি বিপর্যস্ত। আসানসোল ডিভিশনে চার ও দুর্গাপুর ডিভিশনে রয়েছে চারটি। ১৯টি জায়গায় ১১হাজার ভোল্টের তারও ছিঁড়ে পড়েছে। তারমধ্যে আসানসোল ডিভিশনের ১২টি ও দুর্গাপুর ডিভিশনের সাতটি। রঘুনাথপুর সাবস্টেশনের অধীনে থাকা তিলং ফিডারের ১১ হাজার ভোল্টের তার কুনুর নদীতে ছিঁড়ে পড়ে। দু’টি গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে শিল্পাঞ্চলে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আসানসোল শিল্পাঞ্চলে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১১৪মিলিমিটার। টানা বৃষ্টির জেরে খনি অঞ্চলে ফের নামল ধস। জামুড়িয়ার নিউকেন্দা গ্রামে রবিবার সকালে ধস দেখা যায়। বৃষ্টি যত বেড়েছে ধসের আকার ততটাই বেড়েছে। ঘটনাস্থলে যান জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং ও পুলিস-প্রশাসনের লোকজন। সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়। হরেরামবাবু বলেন, ২৫টি পরিবার ওই এলাকায় থাকে। তাদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।
এদিন পাণ্ডবেশ্বর থেকে দুর্গাপুর আসার পথে একটি বাস রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাসের কাচের উপর বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। যদিও বরাতজোরে কেউ হতাহত হননি। অন্যদিকে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, ফুলঝোড়, রাতুড়িয়ার কিছু এলাকায় জল ঢুকে যায়। নন কোম্পানি এলাকায় দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না।
আসানসোলে গাছ পড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। লোকো মোড়ের কাছে বেসরকারি স্কুলের সামনে জিটি রোডের উপর বহু পুরনো বিশাল মোটা গাছ পড়ে গিয়ে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। জেলার সিভিল ডিফেন্সের লোকজন মোটা গাছের গুঁড়ি কেটে জেসিবি দিয়ে তা সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পুরসভার কর্মীরাও ছিলেন। একই ঘটনা ঘটে জিটি রোডের উপর দুর্গা মন্দিরের সামনে। সেখানেও জিটি রোডে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। ডিআরএম অফিস, সার্কিট হাউসেও গাছ ভেঙে পড়ে। এই বৃষ্টিতে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। হাতে মাত্র কয়েকদিন, তারপরই দুর্গাপুজো। এদিন অনেকেই কেনাকাটার পরিকল্পনা করেছিলেন। সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টির জেরে তা ভেস্তে যায়। ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।