সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
বীরভূমের প্রতিটি থানা এলাকায় যেসব অনুদানপ্রাপ্ত পুজো কমিটি আছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বই, চেক, ক্লাবের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর জমা করতে বলা হয়েছে। এতদিন যেসব পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের অনুদান পেয়ে আসছে, তাদের এবারও টাকা দেওয়া হবে। ফলে অনুদান যে খুব শীঘ্রই অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে, তা আন্দাজ করতে পেরেছেন উদ্যোক্তারা। আর এরই মাঝে ঢাক, বাজনা, আলোকসজ্জা, মাইক সহ পুজোর যাবতীয় বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। কম খরচে বুকিং করতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। সিউড়ি শহরের স্বাধীন ভারত ক্লাব, জোনাকি ক্লাব, চৌরঙ্গী, তিলপাড়া সর্বজনীন এরকম বেশ কয়েকটি পুজো উদ্যোক্তা বুধবার থানায় চেক জমা করে। কবে অনুদানের টাকা ঢুকবে, সেই আশায় প্রহর গুনছেন প্রত্যেকেই।
স্বাধীন ভারত ক্লাবের তরফ থেকে পলাশ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মাটির কাজ আশা করছি এই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এরই ফাঁকে প্যান্ডেল তৈরি থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয় আগেভাগে বুকিং করা শুরু করছি। কেননা হাতে আর একেবারেই সময় নেই। পুজো জাঁকজমক করতে গেলে ভালোভাবে উদ্যোগ এখন থেকেই নিতে হবে। আমাদের আবার বিসর্জনের কানির্ভাল হয়। সেখানের বাজেট পুজোর থেকেও বেশি। বিভিন্ন অনুষ্ঠান সহযোগে কার্নিভাল যায় শহরের রাস্তায়। মাইক, আলোকসজ্জা, বিভিন্ন বাজনা বুকিং তাই শুরু করেছি। সিউড়ি ১ ব্লকের আরেক পুজো উদ্যোক্তা তথা স্কুলশিক্ষক প্রলয় দে বলেন, অনেকেই আর জি কর ইস্যুতে এখন ব্যস্ত রয়েছেন। কিন্তু গ্রামে, গঞ্জে পুজোতে অনেক মানুষের রুজি রোজগার হয়। প্যান্ডেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মৃৎশিল্পী, ঢাকি, পদ্মফুল ব্যবসায়ী, পুরোহিত, শাড়ি বোনার মানুষজনের এখন রুজি রোজগারের সময়। পুজো উদ্যোক্তাদের এই দিকটাও দেখতে হবে। অর্থনীতির সঙ্গে এর ভীষণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের গ্রামের পুজোর মূর্তি তৈরি এখন চলছে। আস্তে আস্তে পুজোর আমেজ ধরা দিচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে, কাপড়-জামা ব্যবসায়ীরা মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে পুজোর বাজার ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন। গুদামঘর থেকে দোকান সব জায়গাতেই স্টক করে দিয়েছেন কাপড়, জুতো, ব্যাগ। এখনও হাতেগোনা কয়েকটি শপিং মল ছাড়া সেভাবে দোকানগুলিতে ভিড় হচ্ছে না। তবে তাঁরাও আশা করছেন, হয়তো এই সপ্তাহ থেকেই মানুষজন পুজোর শপিং শুরু করে দেবেন। সেই আশাতেই রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সিউড়ির কোটবাজারের এক ফুটপাতের কাপড়বিক্রেতা বলেন, সাধারণত পুজোর আগের ২০ দিনে বাজারটা জমাজমাট হয়। মনে হচ্ছে ক’দিনের মধ্যেই মানুষজন আসতে শুরু করবেন।