সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
তবে, প্রকৃত খুনি কে এবং খুনের কারণ কী, সেই নিয়ে পুলিস মহলও ধোঁয়াশায় রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি ওই রাতে সিঁদ কেটে আশুতোষ নাকি বিদ্যুৎ ঘরে ঢুকেছিল, সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘ভীমপুরের বধূ খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উভয়কেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ধৃত বিদ্যুৎ ঘটনার দিন বধূর বাড়িতে এসেছিল। ঘটনার দিন সে কেন গিয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে ভীমপুর থানার ডিগ্রি এলাকায় গৃহবধূ সাথী বিশ্বাসের(২৫) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিঁদ কেটে ঘরের ভিতরে ঢুকে ভারী জিনিস দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বিদ্যুতের বাড়ি সাথীদেবীর বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে আন্দুলপোতায়। ঘটনাচক্রে সেখানেই থাকে ধৃত আশুতোষ। তাদের মধ্যে পরিচয় রয়েছে। ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিস জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন রাতে ৯টা নাগাদ সাথীদেবীর বাড়ি এসেছিল বিদ্যুৎ। প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা একসঙ্গে ছিল। তখন সাথীদেবীর শাশুড়ি শুভা বিশ্বাস বাড়িতে ছিলেন না। তিনি নাতিকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা দূরে নিজের বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। তাছাড়া বিদ্যুতের সঙ্গে গৃহবধূর একাধিকবার ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার তথ্যও পুলিসের হাতে এসেছে।
সাথীদেবীর ফোন পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই রাতে তিনি বিদ্যুতের সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিলেন। সাথীদেবীই ওইদিন রাতে বিদ্যুৎকে বাড়িতে ডেকেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পেরেছে। গৃহবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের এই তত্ত্ব খুনের ঘটনায় নতুন মোড় এনেছে। উল্লেখ্য, সাথীদেবীর স্বামী রামপ্রসাদ বিশ্বাস কাজের জন্য বছরের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকেন। শেষবার এপ্রিল মাসে তিনি বাড়ি এসেছিলেন। শোনা যাচ্ছে, এরই মধ্যে আশুতোষের নজর পড়ে সাথীদেবীর উপর। শাশুড়ি শুভা বিশ্বাসকে কাজ দেওয়ার নাম করে সে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক পাতায়। যদিও সাথীদেবী তাকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না। যারজন্য মাঝে মধ্যেই সাথীদেবীর সঙ্গে তার ঝামেলা হতো। পুলিস জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন বিদ্যুৎ সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা নাগাদ সাথীদেবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর অনেক গভীর রাতে আশুতোষ সাথীদেবীর বাড়ি আসে। তাই প্রকৃত খুনি কে, সেই নিয়ে রহস্য ঘণীভূত হচ্ছে।