সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
রঘুনাথগঞ্জ-২ বিডিও দেবোত্তম সরকার বলেন, ইতিপূর্বে ভাঙন নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। নতুন করে ভাঙন অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শনে সোমবার ইঞ্জিনিয়ারদের টিম পাঠানো হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার মরশুম শুরু হতেই পদ্মায় জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে জল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগে বড়শিমূলে আচমকাই ভাঙন শুরু হয়। কয়েক মিটার এলাকা তলিয়ে গিয়েছে। এদিকে মিঠিপুরে প্রতিদিনই অল্প অল্প করে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্ক তাড়া করছে এলাকাবাসীকে। মিঠিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ষষ্ঠীতলা থেকে রাইচক বোলতলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি পদ্মা তীরবর্তী এলাকাজুড়ে কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলিতে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। প্রতিবছর বর্ষাকালে নদীতে কমবেশি ভাঙন দেখা দেয়। নদীর জল নামতে শুরু করলে ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা। প্রতিবছর নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে জনবসতি এলাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। বসতবাড়ি থেকে কোথাও ৫০ ফুট বা ১০০ ফুট দূর দিয়ে বইছে নদী। আরও কিছুটা ভাঙন হলে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জল কমার সময় কী হবে সেই ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে তীরবর্তী এলাকার মানুষ। কারণ জল কমার পরই ভাঙন ভয়ঙ্কর আকার নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আগে পদ্মা কয়েক কিমি দূরে ছিল। কয়েক বছরের লাগাতার ভাঙনে বহু গাছপালা ও চাষযোগ্য জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এমনিতে বড়শিমূল, কাশিয়াডাঙা অঞ্চলের গোবিন্দপুর, কলাবাগ, ভবানীপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। পদ্মা থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বের মধ্যেই জনবসতি এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা রফিক শেখ বলেন, এখন নদীতে প্রচুর জল রয়েছে। প্রতিদিন অল্প অল্প করে নদীর পাড় ভাঙছে। বেশি ভাঙন হলেই বাড়িঘর তলিয়ে যাবে। কয়েকবছর আগে পাথর দিয়ে নদী বাঁধানো হয়েছিল। সেসব তলিয়ে গিয়েছে। নদী বাঁধানো না হলে কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে।