সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
কাটোয়ার আরপিএফ ইন্সপেক্টর আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগেই ১৫টি ঘরে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তাই পূর্ব নির্ধারিত দিনেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। রেলের উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি।
কাটোয়া স্টেশন লাগোয়া দু’টি রেল কলোনি রয়েছে। পশ্চিম ও মধ্য রেলওয়ে কলোনিতে প্রায় ১০০ বছর ধরে বহু মানুষ ঝুপড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন। কেউ রেলে হকারি করে সংসার চালান, কেউ স্টেশনে কুলি বা মুটিয়ার কাজ করেন। অনেকে ফুটপাতে সেলাই করে পেট চালান। রেলওয়ে কলোনিতে ছোট এক কামরার মাটির ঘর উপরে ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে কোনওরকমে মাথা গুঁজে রয়েছেন তাঁরা। আগেও কয়েক দফায় রেল থেকে ওইসব ঝুপড়িগুলিতে নোটিস সাঁটানো হয়। এরপরেই উচ্ছেদ অভিযানের জেরে কলোনিগুলিতে যেন বিষাদের সুর। এদিন মধ্য কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা আনিসা বিবি বলেন, আমার স্বামী ট্রেনে হকারি করেন। আমরা ষোলো বছর ধরে রয়েছি। এখন আমরা কোথায় যাব? এই সুযোগে বাড়ি ভাড়ার জন্য মোটা টাকা হাঁকছে। কীভাবে থাকব আমরা? নাসিমা বিবি বলেন, আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। ছেলেরা কুলির কাজ করে সংসার চালায়। আমাদের এখন গাছতলায় থাকা ছাড়া উপায় নেই। মহম্মদ কলিম বলেন, আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাই। আমরা ছেলেপুলে নিয়ে কোথায় যাব? একের পর এক ঝুপড়িতে বুলডোজার চালানো হচ্ছে। ঘরের জিনিসপত্র তছনছ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই এদিন বলছিলেন, রাস্তার ধারে রেলের জায়গায় অনেকে দোকান করেছে। আরপিএফের সঙ্গে তারা সমঝোতা করে চলে। তাদের দোকানগুলো ভাঙা হচ্ছে না। শুধু গরিব মানুষের মাথা গোঁজার আশ্রয়গুলি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
এদিন উচ্ছেদের ফলে ছেলেপুলে নিয়ে সবাই অতান্তরে পড়েন। মাথায় বাঁশের ফাঁকা ছাউনির কাঠামো রয়েছে। তার উপরের ত্রিপল ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরে সব জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। কাঠের চৌকির একপাশেই আঁচের উনুনে ভাত ফুটছে। উচ্ছেদ অভিযানের জেরে দিশেহারা বস্তিবাসী।