পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
কালনা-১ ব্লকের কাঁকুড়িয়া পঞ্চায়েতের আওতায় পড়ে মানিকহার গ্রাম। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বর্ষায় পরিযায়ী শামুকখোল পাখিরা এই গ্রামে ভিড় জমায়। গ্রামের বড় বড় গাছে তারা বাসা বানিয়ে ফেলে।
শামুকখোল দক্ষিণ এশিয়ার একটি পরিচিত বড় আকারের পাখি। ভারত সহ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার প্রভৃতি দেশে এই পাখি দেখা যায়। সাদা ও ধূসর-দু’রকম রঙের শামুকখোল হয়। এরা মূলত শামুক, ঝিনুক, গুগলি, কাঁকড়া, ব্যাঙ প্রভৃতি খেয়ে থাকে। বর্ষায় খালবিলের জলে খাবারের সন্ধানে আসে। প্রতিদিন সকাল হলেই গ্রামের গাছ থেকে দলবদ্ধভাবে খাবার খুঁজতে বেরিয়ে যায়। সূর্যাস্তের সময় দলবদ্ধভাবে গাছে ফিরে আসে। পড়ন্ত বিকেলে সাদা পাখনায় লাল সূর্যের আলো পড়ে খুবই সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।
আশেপাশে অনেক গ্রাম থাকলেও প্রতি বছর মানিকহারকেই পাখিরা কেন বেছে নেয়? এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, গ্রামে উঁচু উঁচু গাছ রয়েছে। শান্ত পরিবেশ। গ্রামের আশপাশে বহু খালবিল, জলাশয় ও বিস্তীর্ণ চাষের জমি রয়েছে। সেখানে ওদের পছন্দের পর্যাপ্ত খাবার মেলে। বর্ষা শেষে আবার শামুকখোল পাখিরা ফিরে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ দাস বলেন, কয়েক দশক ধরে গ্রামে পরিযায়ী পাখিরা আসছে। অনেক পাখি গাছে বাসা বেঁধে প্রজনন সেরে শাবকদের নিয়ে বর্ষার শেষে চলে যায়। কোথা থেকে এই পরিযায়ী পাখিরা আসে, তা জানা নেই বাসিন্দাদের। তবে গ্রামের মানুষ পাখিদের কোনও ক্ষতি করেন না। উপরন্তু তাঁরা পাখিদের রক্ষা করতে কমিটি গড়ে নজরদারি চালান।