পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে সুলতানপুরের বাসিন্দারাও মাতোয়ারা ছিলেন। রাস্তায় তেমন লোকজন ছিলেন না। সেই সুযোগই কাজে লাগায় দুষ্কৃতীরা। ওই গৃহবধূ বাড়িতে একা ছিলেন। দুষ্কৃতীরা খুব সহজেই অপারেশন চালিয়ে বেরিয়ে যায়। মৃতার স্বামী রাঁধুনির কাজ করেন। তিনি সেই কাজেই কয়েকদিন আগে দীঘায় গিয়েছেন। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ ওই গৃহবধূ চকদিঘি মোড়ে বোনের দোকানে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি আর বের হননি। রাত ১০ টা নাগাদ তাঁর বোন বাড়িতে আসেন। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, দরজার ফাঁক দিয়ে রক্ত দেখা যায়। পরে দরজা খুলে প্রতিমাকে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর নলি কাটা ছিল। নৃশংসভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা মেমারি থানায় খবর দেন। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রবিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মৃতার বোন সজনী চৌধুরী বলেন, ওর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। তারপরও ওকে কে খুন করল বুঝতে পারছি না। এক পুলিস আধিকরিক বলেন, আততায়ীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। ওই গৃহবধূকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে মারা হতে পারে। পরে নিশ্চিত হতে গলার নলি কাটা হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। প্রতিবেশীরা পুলিসকে জানিয়েছেন, রাতে কেউ এসেছে বলে টের পাওয়া যায়নি। চিৎকারও শোনা যায়নি। ওই গৃহবধূর সঙ্গে পাড়ার সকলেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। কারও সঙ্গে কোনওদিনই তিনি বিতর্কে জড়াননি। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, পুলিস দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে কড়া সাজা দিক। এই ঘটনার পর মেমারির ৪নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে দুষ্কৃতীরা গৃহবধূকে খুন করেছে। তাঁর মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস সুপার বলেন, আশা করা যায় দ্রুত এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা যাবে।