আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সূতি থানার এক পুলিস অফিসার বলেন, পাওনা টাকা আদায় করা নিয়ে ঝামেলা হয়। দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে জুয়ার খেলার সময় রেজাউলকে ৮০০ টাকা ধার দিয়েছিলেন কবীর। পরে শোধ করে দেবে বলে জানিয়েছিল সে। বার কয়েক টাকা চাইলেও সে ধারের টাকা কিছুতেই শোধ করছিল না। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসাও হয়। এদিন সকালে ফের একবার পাওনা টাকা চাইতে অভিযুক্তের বাড়িতে যান কবীর। তখনও রেজাউল তাঁকে একই কথা জানায়। পরে টাকা দেওয়ার কথা শুনে কবীর বলেন, এখনই তাঁর টাকা দিতে হবে। তা না হলে তিনি বাড়ি থেকে যাবে না। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা চরম আকার নেয়। এরপরই ঘর থেকে ধারালো চাকু নিয়ে এসে কবীরের পেটে ঢুকিয়ে দেয় রেজাউল। পরপর চারবার তাঁর পেটে চাকু মারে। ঘটনাস্থলেই কবীর লুটিয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হতেই আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরা কবীরকে মহেশাইল ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের শরীরে চার বার চাকু চালানোর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকের অনুমান। খবর পেয়ে মৃতের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে আসেন। এরপরই ঘটনাটি তাঁরা পুলিসকে জানান। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত যুবক রেজাউল ও তার স্ত্রীকে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতের ভাই রুবেল শেখ বলেন, দাদা ৮০০ টাকা পেত। সেটা বাড়িতে চাইতে গেলেই চাকু দিয়ে খুন করে। দাদা একা গিয়েছিল। ওরা স্বামী স্ত্রী দু’জনেই ঘরে ছিল। পুলিস ওদের উপযুক্ত শাস্তি দিক। এদিকে প্রকাশ্যে যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাও অভিযুক্তর কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন।