আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মহকুমা শহর ও ব্লকগুলিতে চোখ রাঙাচ্ছে জ্বর ও সর্দি-কাশি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তীব্র গরমে ঘাম বসে ঠান্ডা লেগে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। জ্বরের পাশাপাশি মশাবাহিত রোগের দিকে খেয়াল রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা। এবছর সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়নি। তবে আগামী মাস থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা মানুষজনকে সচেতন করছেন। বিভিন্ন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকরা রোগীদের বোঝাচ্ছেন, ময়লার স্তূপ হল মশার উৎপত্তিস্থল। বাড়ির সামনে বা আশেপাশে যেন ময়লা না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রুখতে বর্ষার আগেই ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। পঞ্চায়েত ও পুরসভার তরফে পৃথক ব্যবস্থা নিয়ে মশা নিধনের কাজ চলছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। যাতে কোনও জায়গায় জল না জমে থাকে, সেব্যাপারেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, গত বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে। গত দু’বছর জেলায় ডেঙ্গু যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল, এবার তা হবে না। ডেঙ্গু রোধের জন্য আগে থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘সোর্স রিডাকশন অ্যাক্টিভিটি’ শুরু হবে। প্রতিবছরই কর্মীরা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ছোট ছোট এলাকা ধরে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন। জল যাতে না জমে সেব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা শুরু হয়েছে। কিছু স্বাস্থ্যকর্মী রাস্তা, নয়ানজুলিতে মশা নিধনের জন্য স্প্রে করছে। বড় জলাশয়গুলিতে গাপ্পি মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে লজিস্টিক সাপ্লাইয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোধের জন্য মেডিক্যাল অফিসারদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ট্রেনিং চলছে।