জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রীর বয়স ১৬ বছর। সে স্থানীয় আলুগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পেশায় স্বর্ণশিল্পী পূর্ব বর্ধমানের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করেছিল পরিবার। বাড়িতেই প্যান্ডেল করা হয়েছিল। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা হাজির হয়েছিলেন। বেলা ১১টা নাগাদ হবু বরের বাড়ি থেকে গায়ে হলুদ নিয়ে দু’জন চলেও এসেছিলেন। তাঁদের খাতিরযত্ন করে মহিলারা গায়ে হলুদের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেইসময় পুলিস ও প্রশাসনের লোকজন বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। নাবালিকার বাবার কাছে মুচলেকাও নেওয়া হয়। প্রশাসনের লোকজনের সামনেই পাত্রের বাড়িতে ফোন করে নাবালিকার বাবা জানান, বাড়িতে পুলিস এসেছে। আর বিয়ে দেওয়া যাবে না। আপনাদের এখানে আসতে হবে না। দু’বছর পর আমার মেয়ের সঙ্গে যদি ছেলের বিয়ে দিতে রাজি হন তো কথা বলবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই ওই ছাত্রীর স্কুলে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে না দেওয়া নিয়ে একটি আলোচনা শিবির হয়েছিল। তাতে ওই নাবালিকাও অংশ নিয়েছিল। তা সত্ত্বেও তার বিয়ের আয়োজনে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ওই ব্লকের কো-অর্ডিনেটর কল্যাণময় সরকার বলেন, এদিন বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ওই নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অল্প বয়সে বিয়ে দিলে কী হতে পারে তা তাঁরা জানলেও এমন কাজ কেন করেছিলেন সেটাই চিন্তার বিষয়।নাবালিকার বাবা বলেন, মেয়ের বিয়ের বয়স না হলেও ভালো পাত্র পাওয়া গিয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের এক স্বর্ণশিল্পী পাত্র পেয়েছিলাম। পাত্র রাজস্থানের জয়পুরে কর্মসূত্রে থাকে। তাই বিয়েটা সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। পুলিস-প্রশাসনের লোকজনের কথায় বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।