জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা সাহেব বাঁধ আর কচুরিপানা একসময় সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছিল। একাধিকবার কচুরিপানা তোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেখানে যেন কচুরিপানা শেষ হতো না। যে অংশে কচুরিপানা তোলা হতো, কয়েকদিনের মধ্যেই তা আবার কচুরিপানায় ভরে যেত। বিরোধীরা সাহেব বাঁধের কচুরিপানাকে শাসকদলের রোজগারের অন্যতম উপায় বলে কটাক্ষ করত। পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালী বলেন, সাহেব বাঁধের কচুরিপানা কোনওদিনই সম্পূর্ণভাবে তোলা সম্ভব নয় বলে শহরে মিথ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই মিথ ভেঙে পুরসভা শহরবাসীর দাবি মেটাতে সক্ষম হয়েছে। বিরোধীরা অনেক অভিযোগ করেছেন। তাঁদের একবার সাহেব বাঁধে ঘুরে আসার আহ্বান জানাব।
শহরের বাসিন্দাদের একাংশও একসময় বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন, পুরুলিয়া পুরসভা সাহেব বাঁধ থেকে কচুরিপানা সম্পূর্ণ নির্মূল করতে চাইছে না। সেজন্যই বছরের পর বছর ধরে কচুরিপানা তোলার কাজ চলতে থাকে বলে শহরবাসীর অভিযোগ ছিল। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে জেলা পরিষদকে কচুরিপানা তোলার যন্ত্র দেওয়া হয়েছিল। ওই যন্ত্রটি পুরসভার মাধ্যমে সাহেব বাঁধে নামানো হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই তা বিকল হয়ে যায়। এরপর সাহেব বাঁধকে কচুরিপানামুক্ত অবস্থায় আদৌ দেখা যাবে কিনা-তা নিয়ে শহরের বাসিন্দারা সংশয়ে ছিলেন। কিন্তু অবশেষে সাহেব বাঁধকে কচুরিপানামুক্ত করতে পেরেছে পুরসভা।
চেয়ারম্যান জানান, কচুরিপানা তোলার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়। সাহেব বাঁধ, রাজা বাঁধ ও বুচা বাঁধে কচুরিপানা তোলার পাশাপাশি জলকে স্বচ্ছ রাখার জন্য মৎস্য চাষিদের গ্রুপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে শহরে মৎস্য চাষের সঙ্গে যুক্ত একাধিক গ্রুপ একসঙ্গে কাজ করেছে। তবেই সাফল্য এসেছে। আপাতত প্রায় এক বছর ওই সমস্ত গ্রুপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা মৎস্য চাষও করবে। কোনও এজেন্সি মারফত কাজ না করে প্রকৃত মৎস্যচাষিদের দায়িত্ব দেওয়াতেই সাফল্য এসেছে। তাঁরা নিজের মতো করে কাজ করেছেন।