জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
কুচুট এলাকার বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তী, লক্ষ্মণ পালরা কৃষিদপ্তরে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, টাকা খরচ করে বিমা করা হয়েছিল। ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়নি। এলাকার চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন। এবার জমিতে দু’বার বীজ রোপণ করতে হয়েছিল। তারপরও ফলন ভালো হয়নি। অনেকের চাষের খরচও ওঠেনি। বিমার টাকা না পাওয়া গেলে চাষিদের সমস্যায় পড়তে হবে। অন্যান্য এলাকার চাষিরা যথেষ্ট ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
এদিন মেমারিতে রাস্তা অবরোধে শামিল হয় কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটি। তাদের দাবি, বিমার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও স্বজনপোষণ করা হয়েছে। আলুর উৎপাদন কমে যাওয়ায় বহু চাষির দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। বর্ষার মরশুমে চাষ করার টাকা তাঁদের কাছে নেই। তাঁরা বিমার টাকা পাওয়ার আশায় ছিলেন। কিন্তু বহু চাষির স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। বিমা থেকে অল্প টাকা পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার যা প্রিমিয়াম দিয়েছেন তার থেকে কিছুটা বেশি টাকা পেয়েছেন। কৃষিদপ্তরের দাবি, সমীক্ষা করেই ক্ষতিগ্রস্ত জমির তালিকা তৈরি হয়েছিল। আধিকারিকরা নিজেও জমি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আগে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জমি চিহ্নিত করা হতো। তাতে নানারকম ত্রুটি দেখা দিত। সেকারণে এবার আধিকারিকরা সরেজমিনে মাঠে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এক আধিকারিক বলেন, চাষিদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। তবে সব জায়গায় সমস্যা হয়নি। তিন-চারটি পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা অভিযোগ জানিয়েছেন। তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর মহম্মদ ইসমাইল বলেন, কুচুট এলাকার চাষিরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কৃষিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মণ্ডল বলেন, কয়েকটি এলাকায় সমস্যা হয়েছে। আধিকারিকরা চাষিদের সঙ্গে কথা বলছেন। কোনও চাষিই বঞ্চিত হবেন না। সরকার সবসময় চাষিদের পাশে থাকে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষিরা বিমার টাকা পেতে শুরু করেছেন। কোন এলাকায় কতটা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা তাঁদের জানানো হয়েছে।