আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন রাতে সুক্তির বাপেরবাড়ির এক আত্মীয়ের বিয়ে ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বাকিরা সেখানে গিয়েছিলেন। একই ঘরে মায়ের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন সুক্তিদেবী। অভিযোগ, রাত ১১টা নাগাদ সোমনাথ ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে স্ত্রী ও শাশুড়িকে এলোপাথাড়ি কোপায়। পাশেই বাড়ি সুক্তির বউদি ছবি সোরেনের। তিনি বলেন, আমি মেয়েকে নিয়ে বাড়িতেই বসেছিলাম। রাত ১১টা নাগাদ আচমকা ননদ আসে। ওর সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সোমনাথই এসে দু’জনকে কুপিয়েছে। পুলিসকে খবর দিই। পুলিস এসে দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সকালে গাছ থেকে সোমনাথের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে সোমনাথ। দু’জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে আউশগ্রামের কুড়ুল গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথের সঙ্গে ছোড়া কলোনির আদিবাসী পাড়ার সুক্তির বিয়ে হয়। তাঁদের দুই ছেলেও রয়েছে। কুড়ুল গ্রামে থাকার সময়ই স্ত্রীর সঙ্গে সোমনাথের ঝামেলা শুরু হয়। স্ত্রীকে সন্দেহ করত সে। এরপর সোমনাথ স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছোড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ির পাশে জায়গা কিনে বসবাস শুরু করে। দুই ছেলের বিয়েও হয়ে যায়। তাঁরাও ছোড়া এলাকাতেই আলাদা জায়গায় বাড়ি করে থাকেন। মাস পাঁচেক আগে ফের স্ত্রীর সঙ্গে সোমনাথের ঝামেলা শুরু হয়। সোমনাথ পেশায় দিনমজুর ছিল।
স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে বলে সন্দেহ করায় দু’জনের মধ্যে ঝামেলা আরও বাড়ে। পাড়ায় কয়েকজনকে নিয়ে মীমাংসাও হয়। তারপর থেকেই সুক্তি আর সোমনাথ আলাদা হয়ে যায়। সোমনাথ বীরভূম জেলার শান্তিনগর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। সুক্তি ছোড়ায় মায়ের কাছে থাকত। তবে সোমনাথ মাঝেমধ্যে ছেলেদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করলেও শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করত না।
সোমনাথের বউমা অনিমা সোরেন বলেন, শাশুড়িকে সন্দেহ করত শ্বশুর। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তারজন্যই শ্বশুর কুপিয়ে খুন করে নিজে গলায় দড়ি দিয়েছে।