আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
নবদ্বীপ পোড়ামাতলায় বসে রথগুলি বিক্রি করেন কারিগররা। এখান থেকে অনেকে বাইরেও পাইকারি বিক্রি করেন। রথযাত্রার আগে একটু বাড়তি উপার্জনের আশায় এখন দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন নবদ্বীপ রানিরচড়ার মিস্ত্রিপাড়া, চাকীপাড়ার অধিকাংশ বাসিন্দাই। রানিরচড়া চাকীপাড়ার বাসিন্দা তারক অধিকারী বলেন, সারা বছর কাঠের বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করলেও রথের আগে কাঠের রথ তৈরি করি। এরমধ্যে নবদ্বীপের বাইরে থেকে কাটোয়া, শান্তিপুর, কলকাতা, বারাসত সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারি নিয়ে যায়। এছাড়া অনেক রথের অর্ডার ছিল। সেগুলো ডেলিভারি হয়ে গিয়েছে। আবার নতুন করে কিছু রথের অর্ডার পেয়েছি।
গৃহবধূ গৌরী অধিকারী বলেন, বাড়ির পুরুষরা শাল, সেগুন, গামারি, আকাশমণি, মেহগনীর ছাট কাঠ দিয়ে রথ তৈরি করেন। আমরা বাড়ির মহিলারা সেই সব রথে রং দিয়ে কারুকার্য করি।
রানিরচড়া মিস্ত্রি পাড়ার গণেশ রায় বলেন, ৪০ বছর ধরে রথ তৈরি করছি। ছোটগুলো এক দেড়শো আর একটু বড়গুলো চার থেকে পাঁচশো টাকায় বিক্রি হবে। বছরের অন্য সময় খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, ইত্যাদি তৈরি করি। যদি রথের দিন ঝড়বৃষ্টি না হয়, তবে এবছর ভালো বিক্রির আশা করছি।
গৃহবধূ কল্পনা রায় বলেন, বাড়ির পুরুষরা হাতুড়ি, বাটালি, করাত দিয়ে কাঠ কেটে রথ তৈরি করেন। আমরা মহিলারা সেগুলি রঙ করি। আমার মেয়েরাও খুব ভালো ছবি আঁকতে পারে। এখন এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে তবুও রথের আগে আমাদের সাহায্য করতে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসে। কোনও রথে জগন্নাথের মূর্তি, কোনওটিতে দুর্গামূর্তি, কোনও রথে কার্টুন, কোনওটিতে আবার সুন্দর আলপনা।
রানিরচড়া মিস্ত্রি পাড়ার রিয়া রায় বলেন, ছোট থেকেই রথের সময়ে বাবার সঙ্গে হাতে হাতে কাজ করতাম। আমার এবং দিদির দায়িত্ব রথে সুন্দর আলপনা দেওয়ার।