আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এদিন কবি দত্তর এডিডিএর দায়িত্ব গ্রহণের অনুষ্ঠান ঘিরে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের আসানসোল ও দুর্গাপুরের অফিসে তারকার হাট বসেছিল।
এদিন সকালে দুর্গাপুরে দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর ছবিতে প্রণাম করে চেয়ারে বসেন কবি। তার আগেই সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের এমপি কীর্তি আজাদ। তারপর আসেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। দীর্ঘকাল পর এডিডিএ অফিসে দেখা গিয়েছে সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে। মন্ত্রীর সামনেই কবি দত্ত বলেন, আগে কী করেছিলেন জানি না। এবার থেকে সপ্তাহে পাঁচদিন অফিসে আসুন। আপনি আমাকে গাইড করুন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমি এই ক্ষেত্রে একেবারেই নতুন। এর আগে যাঁরা এই সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন, তাঁদের নামের সঙ্গে আমার নাম জুড়েছে দেখেই ভালো লাগছে। পূর্বসূরি তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে আমার কোন তুলনাই চলে না। তিনি অন্যস্তরের মানুষ। আমাকে পাঁচ-ছ’মাস সময় লাগবে পুরো বিষয়টি বুঝতে। প্রদীপবাবু বলেন, আমরা নতুন এমপি পেয়েছি, নতুন চেয়ারম্যান পেলাম। আশা করি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
এরপর এদিন দুপুরেই আসানসোল অফিসে গিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কবি দত্ত। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নমবলম এস। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় সহ আসানসোল পুরসভার দুই ডেপুটি মেয়র।
যেভাবে চেয়ারে বসেই বেআইনি দখলদারদের বিরুদ্ধে কবি বার্তা দিলেন, সেটাকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। এডিডিএর জমি বেদখল হওয়ার অভিযোগ বহু পুরনো। কখনও রেকর্ড পরিবর্তন করে, কখনও আবার এডিডিএর জমি জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক শ্রেণির অসাধু বড় ব্যবসায়ীও এর সঙ্গে যুক্ত বলেন সূত্রের দাবি। তাঁদের অনেকেই ব্যবসায়ীকে চেয়ারম্যান হিসাবে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা ছিলেন। কিন্তু প্রথম দিনেই কবি দত্ত যেভাবে চালিয়ে খেললেন, সেই ধারা অব্যাহত থাকলে কঠিন সময় আসতে চলেছে দখলদারদের।