জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
গতবছর মুর্শিদাবাদ জেলায় ব্যাপক বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। তাতে চাষের কাজও বেশ পিছিয়ে গিয়েছিল। এবারও বৃষ্টির অভাবে জেলায় পাট চাষে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ধান চাষ করতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বহু ব্লকের চাষিরা। তাই অনেক চাষি বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তবে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলে চাষিদের সমস্যা মিটবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিকে ও বৈশাখ মাসে মাঝেমধ্যে কালবৈশাখীর দেখা মিলত। জৈষ্ঠ্য মাসেও কয়েক পশলা ভালোই বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার একেবারেই বৃষ্টির দেখা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সপ্তাহ দুয়েক আগে সামান্য বৃষ্টিতে জমিতে জলের সমস্যা কিছুটা মিটেছিল। তারপর আবার টানা রোদ শুরু হয়। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠের জমি শুকনো হয়ে ফেটে যাচ্ছে। নিয়মিত জলসেচ দিয়েও মাটি আর্দ্র রাখতে পারছেন না চাষিরা। ফলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে পাট ও সব্জি চাষে। চাষের এই ক্ষতির কারণে ইতিমধ্যে বাজারে সব্জির দাম চড়া হতে শুরু করেছে। পটল ও বেগুন ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শাকের ডাঁটা ২০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। জেলায় উৎপাদিত প্রতিটি আনাজের দাম বেড়েছে। এই তীব্র দাবদাহে টানা জলসেচ দিয়ে ফসল বাঁচিয়ে রাখাটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ চাষিদের। তাই অনেকেই অপরিণত অবস্থায় সব্জি তুলে বাজারে নিয়ে আসছেন।
বেলডাঙার সব্জি চাষি কুতুবউদ্দিন শেখ বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টির অভাবে সব্জি চাষে প্রভাব পড়েছে। গাছ সব শুকিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে অপরিণত অবস্থায় বাজারে সব্জি পাঠিয়ে দিচ্ছি। এতে অন্তত চাষের খরচটা উঠবে।
জেলাজুড়ে কৃষিদপ্তরের আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকায় চাষের অবস্থা খতিয়ে দেখছেন। তাঁরা চাষিদের সঙ্গে কথা বলছেন। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, ভালো বৃষ্টি না হওয়ার ফলে চাষে কিছুটা প্রভাব পড়ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে ভারী বর্ষা শুরু হলে চাষের জমিতে জলের অভাব অনেকটাই মিটবে। নবগ্রামের ধান চাষি ইমতিয়াজ মাহমুদ শেখ বলেন, পরপর দু’বছর দেরিতে বর্ষা শুরু হয়েছে। যে কারণে আমাদের চাষও পিছিয়ে যায়। এবারও কবে বর্ষা আসবে, সেদিকে তাকিয়ে আছি আমরা। জুন মাসের মাঝামাঝিও বৃষ্টির দেখা নেই। সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হলে চাষের কাজে খুবই সমস্যা হয়।