বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গড়বেতার হুমগড় এলাকার মেটালডোবার বাসিন্দা মঙ্গল লোহারের তিন বছরের ছেলে রিজুর ডান হাত গরম মাংসের ঝোলে ডুবে ঝলসে যায়। মঙ্গল বলেন, গত ২৪ অক্টোবর বাড়িতে মাংস রান্না হয়েছিল। ছেলেটা খেলতে খেলতে পড়ে যাওয়ায় ওর ডান হাত গরম মাংসের কড়াইয়ে ডুবে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে প্লাস্টিক সার্জরির ব্যবস্থা না থাকায় দু’দিন চিকিৎসার পর কলকাতা রেফার করে দেয়। তিনি বলেন, বুধবার প্রথমে ওকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে পিজিতে পাঠিয়ে দেয়। পিজিতে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বার্ন ওয়ার্ডে বেড নেই বলে ছেড়ে দেয়। তখন কী করব কিছুই ঠিক করতে পারছিলাম না! কলকাতার মতো জায়গায় কোথায় ছুটে বেড়াব? আমাদের বিধায়ক উত্তরা সিংয়ের ফোন নম্বর জোগাড় করে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ফোন করে বলি ‘আমি আপনার বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। আপনিই আমাদের একমাত্র ভরসা। যদি একটু ছেলেটাকে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে খুব উপকার হয়।’ কিন্তু, বিধায়ক পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কলকাতার কোনও হাসপাতালে তাঁর হাত নেই। তিনি কিছু করতে পারবেন না। অনেক অনুরোধ করি। তিনি ফোন কেটে দেন। আবার ফোন করি। সেই একই কথা বলে ফোন কেটে দেন।
মঙ্গলবাবু বলেন, সেই অবস্থায় একজন শ্রীকান্তবাবুর ফোন নম্বর দিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এদিন দুপুরে তাঁকে ফোন করতে তিনি ভরসা দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর এক সহযোগী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি এনআরএসে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। আমরা চিন্তামুক্ত হই। তিনি বলেন, শ্রীকান্তবাবু আমাদের এলাকার বিধায়ক নন। তিনি আমাদের দুঃখ বুঝতে পারলেন। অথচ এলাকার বিধায়ক হয়ে উত্তরাদেবী কোনও চেষ্টাই করলেন না। আমাদের বিপদে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। পরে ভর্তি করা গেল কি না, একবার ফোন করে খোঁজও নিলেন না। যাঁকে বিপদে পাওয়া যায় না তিনি কেমন বিধায়ক? শ্রীকান্তবাবুর অবদান আমরা সারাজীবন মনে রাখব।