বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ১৮টি জায়গায় ১০০বেডের ওয়ার্ড হবে। ১০টি গ্রামীণ হাসপাতাল ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২০টি করে বেড তৈরি করা হবে। তারজন্য প্রতিটি ইউনিটে ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরুলিয়ার ঝালদা মহকুমা হাসপাতালে সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করে ৫০টি বেড তৈরি করা হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ডগুলি কেমন হবে তার বিবরণও দেওয়া হয়েছে। রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুবিধার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি দরজা থাকবে। নার্সদের জন্য আলাদা রুম তৈরি করা হবে। একটা স্টোররুম থাকবে। পোশাক বদলানোর জন্যও আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হবে। ওয়ার্ডের পাশেই অপারেশন থিয়েটার, লেবার রুম থাকবে। পুরুষ এবং মহিলাদের ভর্তির জন্য আলাদা জায়গার বন্দোবস্ত করতে হবে। আলাদা ওয়াশরুম থাকবে। ওয়ার্ডে ২৪ঘণ্টা পানীয় জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু সুবিধা থাকবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার গোকর্ণ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উত্তর ২৪পরগনার চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতাল, নদীয়ার হাঁসখালি গ্রামীণ হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড হবে। এছাড়া আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, হুগলি জেলা হাসপাতালে ১০০বেডের ওয়ার্ড হবে। খাতড়া, দুর্গাপুর, কাটোয়া এবং বারাকপুর মহকুমা হাসপাতালেও অতিরিক্ত বেড তৈরি করা হবে। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০০টি বেডের ওয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হবে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অমিয়কান্তি বেরা বলেন, সদ্য নির্দেশ এসেছে। আমরা দু’- একদিনের মধ্যে বৈঠক করে কাজ শুরু করব।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের অনুপনগর বিপিএইসি, হাওড়ার টিএজি হাসপাতাল, নবদ্বীপ এসজিএইচ হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মালদহ ও রানাঘাট, চাঁচল মহকুমা হাসপাতালেও এই কাজ করা হবে। এক আধিকারিক বলেন, বুধবার এই নির্দেশ হাসপাতালগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড তৈরির জন্য আলাদা জমি দরকার রয়েছে। সেটা আগে চিহ্নিত করতে হবে। প্রতিটি জেলাতেই কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। অতিরিক্ত ওয়ার্ড তৈরি হলে পরিকাঠামো আরও উন্নত হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিটি জেলাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কোভিড হাসপাতালে অনেকে ভর্তিও হচ্ছেন। পুজোর কয়েকদিন আগেও কোভিড হাসপাতালগুলি ফাঁকা পড়েছিল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি বলেন, রাজ্য সরকার করোনাকে রুখে দেওয়ার জন্য সমস্ত রকম পরিকাঠামো তৈরি করছে। কিন্তু আমজনতা বেপরোয়া হয়ে ওঠায় উদ্বেগ বাড়ছে।