বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় সামিউল শেখ প্রতিদিনের অভ্যাস মতো একঘর টিকিট কাটেন। রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে, টিকিটটি মেলাতেই, প্রথম প্রাইজের টিকিটটি তারই সংগ্রহে রয়েছে জানতে পারেন। তারপর সোজা বাড়ি চলে যান। এতো বড়ো খুশির খবর নিরাপত্তার কারণে কাউকে জানাননি। সকাল হতেই তিনি জঙ্গিপুর পুলিস ফাঁড়িতে চলে আসেন।
পুলিসের কাছে নিরাপত্তা সহ সবরকম সাহায্য চান। জন্মের পর থেকেই তিনি পঙ্গু। ডান পা পোলিও আক্রান্ত। লাঠির সাহায্য নিয়ে ও হাতে টানা রিকশয় চলাচল করেন। পুরনো ভাঙা বাড়িতে তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে বাস করেন। অভাবের সংসারে হাল ধরতে, অক্ষম পা নিয়েই জঙ্গিপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে তিনি পান বিক্রি করেন। জঙ্গিপুর পুলিস ফাঁড়িতে বসে সামিউল শেখ বলেন, আমি অক্ষম মানুষ। পান বিড়ি বিক্রি করি। আমার থাকার বাড়ি নেই। এই টাকা দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করব। আগেও আমি দু’একবার লটারি জিতেছি। তবে, প্রথম প্রাইজ পাব কোনওদিন ভাবিনি।