বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
পুঞ্চার বিএমওএইচ নবকুমার বিশ্বাস বলেন, এদিন সকালে নির্ভয়পুর থেকে পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। আলু জাতীয় একটি ফল তাঁরা মাটি খুঁড়ে বাড়ি নিয়ে গিয়ে এদিন সকালে সিদ্ধ করে খেয়েছিলেন। তা খাবারের পরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই গ্রামে গিয়েছিলাম। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই ফল খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, নাকি খাবারে অন্য কিছু বিষাক্ত পড়ে গিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
এদিন বাঁকুড়া মেডিক্যালে এক শিশু সহ চারজনকে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জলধরের বৃদ্ধা মা রূপধনী শবর। জলধরের দুই ছেলে নন্দ ও লিলু শবর এবং লিলুর তিন বছরে ছেলেকেও ভর্তি করা হয়েছে। এদিন বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করার সময় তাঁরা সংশ্লিষ্ট ফলটি নিয়ে এসেছিলেন। জরুরি বিভাগে তাঁরা চিকিৎসককে সেই ফলটি দেখান। ফলটি অনেকটা কচু প্রজাতির। মাটির নীচে হওয়া কন্দ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট পরিবারটি দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। অসুস্থরা বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে ওই ফল নিয়ে আসা হয়। এদিন সকালে সিদ্ধ করা খাওয়া হচ্ছিল। অসুস্থ লিলু বলেন, আগেও এভাবে মাটির নীচের এই আলু খেয়েছি। মিষ্টি স্বাদের। কিন্তু, এদিন খাওয়ার সময় ফলটি তেতো লাগছিল। বাবা বোঝার জন্য একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর জেরে তাঁর মাথা ঘুরতে থাকে। বমি হচ্ছিল। পরে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবার মৃত্যু হয়।
অসুস্থদের খুড়তুতো ভাই সুবোধ শবর বলেন, ফলটি খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই বাকিরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি অবশ্য কোনওদিন এই ফল খাইনি।
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা উপাসী শবর বলেন, পাশের কেন্দাডি গ্রামে কাজ করতে গিয়ে আলুর মতোই ফল তাঁরা মাটি খুঁড়ে নিয়ে এসেছিলেন। এদিন সকালে সিদ্ধ করে খাওয়ার পরই তাঁরা বমি করতে শুরু করেন। এরকম ফল আগেও খাওয়া হয়েছে। নব শবর বলেন, ওই ফসল একটুখানি মুখে দিয়েই মনে হয়েছিল, এটা খাওয়ার যোগ্য নয়।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের সুপার তরুণ কুমার পাঠক বলেন, পুরুলিয়া থেকে চারজন ভর্তি হয়েছেন। খোঁজ নিয়েছি। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।