বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
বনদপ্তরের বাঁকুড়া উত্তর বিভাগের আধিকারিক কল্যাণ রায় বলেন, হাতির দলটি বেশ কিছুদিন ধরে সোনামুখীতে রয়ে গিয়েছে। ওদের তাড়ানোর সময় প্রথমদিকে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বাধা এসেছিল। তারফলে হাতিগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিল। পরে গ্রামবাসীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। হাতির দলটিকে বিষ্ণুপুরের দিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে। হাতি ড্রাইভ করার আগে মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। ক্ষতিপূরণের জন্য চাষিদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।
সোনামুখীর জামশোলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আনিসুর রহমান বলেন, দু’বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম। সবে পাকতে শুরু করেছিল। কিন্তু, বুধবার হাতিতে খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে দিয়েছে। ওই জমির ধানেই সারা বছরের খোরাকি হয়ে যায়। ঋণ করে চাষ করেছি। এবার কীভাবে ঋণ শোধ করব, আর কীভাবে ভাতের ব্যবস্থা করব বুঝে উঠতে পারছি না। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’দশক আগে ঝাড়খণ্ডের দলমা এলাকা থেকে বুনো হাতির দল খাবারের সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে। ঝাড়গ্রাম, গড়বেতা, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী, বেলিয়াতোড় হয়ে বড়জোড়ার জঙ্গলে যাতায়াত করে। প্রথম দিকে আমনের মরশুমে বছরে একবার এলেও পরবর্তীকাল যাতায়াত বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে ৭০ থেকে ৮০টি হাতির যাতায়াত ছিল। পরে বংশবৃদ্ধির জেরে ক্রমশ তার সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে যায়। এছাড়াও পরবর্তীতে ওড়িশা থেকে ২৫টি করে মোট ৫০টি হাতির দু’টি দল এরাজ্যে ঢুকে পড়ে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ১৬০টি হাতি এরাজ্যের বিভিন্ন জঙ্গলে রয়েছে। তার মধ্যে বাঁকুড়ায় রয়েছে ৭৯টি। ওই হাতির দলটি পুজোর আগে বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। পুজোর পর সোনামুখীর বিভিন্ন জঙ্গল এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে সোনামুখী রেঞ্জের অর্জুনা মৌজায় ৭১টি, রাঙাখুলিয়ায় ৬টি এবং বড়জোড়া রেঞ্জের সাহারজোড়া এলাকায় ২টি হাতি রয়েছে। পাকা ধানের লোভে বর্তমানে হাতির দল এলাকা ছাড়তে চাইছে না।