বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, জেলায় ৬৪০৬টি বিভিন্ন ধরনের স্কুল আছে। এর মধ্যে এসএসকে, এমএসকে, জুনিয়ার হাইও আছে। এই সব শিক্ষাকেন্দ্রে নিজস্ব জল সংযোগ করে দেওয়া হবে। যেসব স্কুলের সামনে দিয়ে পাইপলাইন গিয়েছে সেখানে পাইপ লাইন ওখান থেকে সংযোগ করে দেওয়া হবে। আর যেখানে পাইপলাইন যায়নি। সেখানে ভুগর্ভস্থ জল উত্তোলন করে কমিউনিটি জলাধারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটির জন্য প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭৬ শতাংশ স্কুল পাইপলাইনের বাইরে আছে।
জেলায় ৭২০টি বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে ৬৯টি সাব সেন্টারে পানীয়জলের কোনও সংযোগ নেই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সব কেন্দ্রগুলিতে জলের সংযোগ দেওয়া হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। ফলে এই সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী, রোগী ও রোগীর বাড়ির লোকরা উপকৃত হবেন।
এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে জেলায় ৬৬৩৬টি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র আছে। যার মধ্যে ১৭৩৯টি কেন্দ্রে পানীয়জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে খাওয়া ও রান্নার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। জলস্বপ্ন প্রকল্পে আমরা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই কেন্দ্রগুলিতে পানীয়জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সব কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
জলস্বপ্ন প্রকল্পে জেলায় একটা সাফল্যও পাওয়া গিয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলায় ১৭টি জল পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে ১১টি দপ্তর নিজে চালায়। বাকি ছ’টি বিভিন্ন এনজিওকে দেওয়া আছে। সম্প্রতি ১১টির মধ্যে চারটি ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিয়েশন ব্যুরোর (এনএবি) অনুমোদন পেয়েছে। এবার থেকে এই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি থেকে যে শংসাপত্র দেওয়া হবে সেখানে এনএবি অনুমোদিত লেখা যাবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি বাড়িতে বিনা ব্যয়ে পানীয়জলের সংযোগের কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। অনেকটা কাজ এগিয়েও গিয়েছে। সবং সহ কিছু ব্লককে বেছে নিয়ে এই কাজ শুরু করা হয়। পরে পরে অন্যান্য ব্লকেও কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পে এমন একটাও বাড়ি থাকবে না যেখানে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছবে না।