নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট, পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের সঙ্গে যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন। এতে স্থানীয় ভৌগোলিক বৈচিত্র ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলির মধ্যে হিলকার্ট রোড অন্যতম। এদিন এই রাস্তার সেভক মোড় থেকে মহাত্মা গান্ধী মোড় পর্যন্ত অংশে গড়ে তোলা হয়েছিল হ্যাপি স্ট্রিট। এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচশো মিটার। সাজিয়ে তোলা হয়েছিল আলপোনা, বাহারি এলইডি লাইটের চেন এবং অসংখ্য স্টলে। সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মঞ্চ ও র্যাম্প। বেলা ১২টা নাগাদ মহাত্মা গান্ধী মোড়ের মূলমঞ্চ থেকে নীল-সাদা বেলু উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শুরু হয়ে যায় উন্মাদনা।
দিনভর আবহাওয়া মনোরম থাকায় অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জমায়েত হন পাহাড় ও সমতলের বাসিন্দারা। কারও কোলে খুদে, কারও হাতে পোষ্য। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পরই মূলমঞ্চের কাছে র্যাম্পে হয় ৩০ জন খুদেকে নিয়ে হামাগুড়ি প্রতিযোগিতা। যাদের বয়স এক থেকে দু’বছর। পাশেই হেঁটেছে ‘রেডপন্ডা’ ও পোকেমন কার্টুনের ‘পিকাচু’। তাদের গায়ে হাত বোলায় কচিকাঁচারা। তারাও মিশে যায় ভিড়ে। সংশ্লিষ্ট দু’টি ম্যাসকটের সঙ্গেই ছিল ‘রণপা’। বিশাল লম্বা। খুদেদের কেউ কেউ বাবা’র ঘাড়ে চেপে রণপার সঙ্গে হাত মেলায়।
দুপুরে হ্যাপি স্ট্রিটে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ভিড় আরও বাড়ে। গানের অনুষ্ঠান শুরু হতেই ভিড় আছড়ে পড়ে হ্যাপি স্ট্রিট মুখি। একসময় ছিল শুধু কালোমাথার মিছিল। দর্শনার্থীরা বলেন, এই প্রথম শহরে এমন উৎসব উপভোগ করলাম। বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি মোবাইলের ক্যামেরায় ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছি। পুলিস কমিশনার সি সুধাকর বলেন, সুষ্ঠুমতো উৎসব হয়েছে। মেয়র গৌতম দেব বলেন, এই উৎসব ঘিরে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। আগামীতেও এমন উৎসব করা হবে।
তবে মূলমঞ্চে ভাওয়াইয়া সঙ্গীত ও নৃত্য স্থান পায়নি বলে অভিযোগ। মহকুমা শাসক অবধ সিঙ্ঘাল অবশ্য বলেন, সব সম্প্রদায়ের সঙ্গীত ও নৃত্য হয়েছে। কেউ বাদ পড়েছে কি না জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নেব। নিজস্ব চিত্র।