নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, কাঁটাতারের ওপারে বাড়ি হওয়ার সুবাদেই ভারত থেকে বাংলাদেশে ইঞ্জেকশন পাচার করত জাহাঙ্গীর। ওই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল তার স্ত্রী শিউলি বিবিও। তাকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধরা পড়েছে আরও তিনজন সহযোগী।
বালুরঘাট সদর ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ বলেন, ইঞ্জেকশন পাচারের ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা পুলিসের বড় সাফল্য।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে পতিরামে বিপুল পরিমাণ ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়ার একটি ক্রেন থেকে ১০ টি কার্টনে সেগুলি উদ্ধার করেছিল পতিরাম থানার পুলিস। ওই ক্রেনটি পুলিসও মাঝেমধ্যে ব্যবহার করত। সেই ঘটনায় গাড়িচালক গ্রেপ্তার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ৬ জনকে জালে তোলে পুলিস। তারপরেই শনি ও রবিবার বড় সাফল্য। সাঙ্গোপাঙ্গোদের হদিশ পেলেও মূল মাথাকে ধরাই ছিল পুলিসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে পুলিস জাহাঙ্গীরের অবস্থান জানার চেষ্টা করছিল। সেরকমই একটি সূত্র মারফত পুলিস জানতে পারে সীমান্তের ওপারে বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে জাহাঙ্গীর। তখনই অভিযান চালিয়ে তাকে ধরা হয়।
পুলিস জানিয়েছে নিখুঁত পরিকল্পনায় পাচারের জাল ছড়িয়েছিল জাহাঙ্গীর। বিএসএফের চোখে ধুলো দিয়ে পাচার সামগ্রী নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে নিজের গ্রামে যেত ওই দম্পতি। সেখান থেকে সহজেই বাংলাদেশের পাচারকারীদের হাতে তুলে দিত সামগ্রী। ধৃত জাহাঙ্গীর ইয়াবা ট্যাবলেট, কাফ সিরাপ সহ নানা সামগ্রী পাচার করে। পুলিস সূত্রে খবর, ওই যুবক আগে গরু পাচার চক্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। পরে কাফ সিরাপ ও ইঞ্জেকশন পাচারে হাত পাকায়। শনিবার জাহাঙ্গীরকে বালুরঘাট জেলা আদালত তোলা হলে তার ন’দিনের পুলিস হেফাজত হয়েছে। রবিবার বাকি পাঁচ অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে শিউলি এবং সহযোগী প্রদীপ পালকে ৮ দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠানো হয়। বাকিদের এদিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নিজস্ব চিত্র।