নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। তারপর লকডাউনের আগে পর্যন্ত অধ্যাপক নিয়োগ চলেছে। তারপর থেকেই থমকে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ১৫৪ টি অনুমোদিত অধ্যাপক পদ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট অধ্যাপক মাত্র ৯১ জন। আর্টস বিভাগের বিশেষ করে ইংরেজি, বাংলা বিষয়ে পর্যাপ্ত অধ্যাপক নেই। বিজ্ঞান বিভাগের ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বটানি, বায়োলজি, সেরিকালচার বিষয়েও অধ্যাপকের অভাব রয়েছে।
সম্প্রতি এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে পিএইচডি কোর্সের ক্ষেত্রে। যেহেতু অধ্যাপক সংখ্যা অপ্রতুল, তাই পিএইচডি করতে আসা পড়ুয়ারা অনেকেই গাইড পাচ্ছেন না। ফলে তাঁদের বছরের পর বছর নষ্ট হচ্ছে। গাইডের অভাবে পড়ুয়াদের পিএইচডি সম্পূর্ণ হচ্ছে না। সম্প্রতি এক ছাত্র এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। ক্ষোভ রয়েছে আরও অনেকের। এ ব্যাপারে সরব হয়েছেন ওয়েবকুপার ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট নির্ঝর সরকার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে পরিকাঠামোয় চলছে, তাতে শূন্যপদে অধ্যাপক নিয়োগ কতটা সম্ভব তা নিয়েই আমরা সন্দিহান। তবে এটা খুব উদ্বেগের যে, পর্যাপ্ত সংখ্যায় অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকারয় ভোগান্তি হচ্ছে ছাত্রছাত্রী ও স্কলারদের। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রেখেছি সরকার অনুমোদিত ব্যবস্থাপনা যেমন এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য।
এদিকে সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার। তিনি বলেন, ২২ টি বিভাগ আছে, যেখানে ইউজি পড়ানো হয়। ২৩টি বিভাগে পিজি পড়ানো হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত নজিরবিহীনভাবে একই ছত্রছায়ায় ইউজি, পিজি ও পিএইচডি পড়ানো হয়। তাঁরও আক্ষেপ, লকডাউনের আগে পর্যন্ত নিয়োগ যা হওয়ার হয়েছে। সব বিভাগেই অধ্যাপক কম। বিশেষ করে ইংরেজি, বাংলা, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বটানি, বায়োলজি, সেরিকালচার। তারউপর নতুন এনইপি এসেছে। পুরনো সিবিসিএস চলছে। বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম এসেছে।আমরা কোনওমতে ভিজিটিং টিচার, গেস্ট লেকচারার দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছি। এর জন্যই ছাত্ররা সমস্যায় পড়েছেন।
রেজিস্ট্রারের আশা, আগামী কিছুদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হতে পারে। দিন দিন পিএইচডি কোর্সে চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু আমাদের অধ্যাপক মাত্র ৯১ জন। তাতে গাইড দেওয়া যাচ্ছে না।