নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
মালদহ জেলার ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুরের বাঁধে ভেঙে যায় পঞ্চাশটিরও বেশি গাছ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভূতনির কয়েকটি গ্রামের। শিলাবৃষ্টিও হয়েছে ভূতনিতে।
উত্তর চণ্ডীপুরের শঙ্করটোলা থেকে কালীটোলা পর্যন্ত রিং বাঁধে প্রায় ৫০ টি গাছ ভেঙে পড়ায় এক কিমি রাস্তায় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আলাদিয়া, ভীমটোলা, কালীটোলা, সাহেবরামটোলার বাসিন্দারা তিন কিমি ঘুরে যাতায়াত করতে বাধ্য হন।
কালীটোলায় বেশকিছু খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর ঝড়ের দাপটে উড়ে যায়। সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে চৌকির নীচে ঢুকে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন স্থানীয় বাসিন্দা রাজু মণ্ডল। তিনি বলেন, মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়ে ঘরের সব উড়ে যায়। দক্ষিণ চণ্ডীপুরের বাল্লিটোলা গ্রামে বিয়ের প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে। নুরপুরেও তিনটি বাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হয়। কোথাও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ফসলের সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার তপন ব্লকে গমচাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিঘার পর বিঘা খেতের গমগাছ হেলে পড়েছে। তপন ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কমবেশি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
হরসুরার কৃষক রেজাউল করিম ও মালেক সরকার জানান, ঝড়ে অনেক জমির গমগাছ ভেঙে পড়েছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। ফোন না তোলায় এবিষয়ে জেলা মুখ্য কৃষি অধিকর্তা প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে আলু চাষেও প্রভাব পড়েছে। জলের তলা চলে গিয়েছে আলুখেত। আলুর পাশাপাশি সর্ষে চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেকে সর্ষে কেটে জমিতে রেখেছেন। বৃষ্টির জেরে মাঠেই সর্ষে ঝরে পড়েছে। তবে এই বৃষ্টি বোরো ধান চাষে সহায়ক হয়েছে।
কয়েকঘণ্টার ঝিরঝরে বৃষ্টি, ফুরফুরে ঠান্ডা হাওয়ায় নতুন করে উত্তর দিনাজপুরে ফিরেছে শীতের আমেজ। রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, সর্বত্রই ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। আর এর ফলে জেলার চাষাবাদে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জেলার কৃষি আধিকারিক প্রিয়নাথ দাস বলেন, কয়েকমাস বাদে এই বৃষ্টি আবাদি জমিকে উর্বর করল। ভুট্টা চাষের জন্য এই বৃষ্টি রীতিমতো আশীর্বাদ। শুকনো মাটি খানিকটা ভিজল। যা ভুট্টা গাছের জলের চাহিদা কিছুটা মেটাল। কৃষি আধিকারিকের মতে এই বৃষ্টি যদি মুষলধারে হতো তাহলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল আলু চাষের ক্ষেত্রে।